বাংলা হান্ট ডেস্ক: ‘একই অঙ্গে ভিন্ন নাম’! তাই ফুচকা (Fuchka) মানে কোথাও পানিপুরি (Panipuri) তো কোথাও গোলগাপ্পা। ফুচকা প্রেমীদের কাছে তাই ফুচকা যেকোনো রূপেই অমৃত। আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুচকা নিয়ে রয়েছে আলাদাই ক্রেজ। বিশেষ করে আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় একটি স্ট্রীট ফুড হল ফুচকা। যদিও জায়গা বিশেষে এই ফুচকা তৈরি কিংবা পরিবেশন করার ক্ষেত্রে রয়েছে বিশেষ পার্থক্য।
তবে এবার এই পানিপুরি নিয়েই বিরাট ঘোষণা করল খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর (Food & Supplies Department)। সম্প্রতি ফুচকা নিয়ে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের তরফে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে তা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় বহু ফুচকাপ্রেমীদের। সম্প্রতি ২৬০ টি ফুচকার নমুনা পরীক্ষা করেছে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর। যার মধ্যে ২২ শতাংশই তৈরি করা হয়নি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে।
অত্যাধুনিক কৃত্রিম রং ও ক্যান্সার জনিত রাসায়নিক মেশানোর কারণে ইদানিং ফুচকাও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠেছে। বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই দারুণ উপহার পূর্ব রেলের! এবার বন্দেভারতকেও টেক্কা দেবে এই এক্সপ্রেস ট্রেন
ফুচকায় কী কী রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে?
ফুচকার মধ্যে একাধিক রাসায়নিক পেয়েছেন খাদ্য সুরক্ষা দফতরের গবেষকরা। নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ফুচকার মধ্যে কারসিনোজেনিক এলিমেন্ট রয়েছে। জানা যাচ্ছে এর মধ্যে ব্রিলিয়ান্ট ব্লু, টারট্রাজান ও সানসেট ইয়েলোর মতো রং মেশানো হয়। এই বিষাক্ত রংগুলি শুধু পেটের জন্যই ক্ষতিকারক নয়,পাশাপাশি ক্যানসারের মতো মারণ রোগের-ও কারণ হতে পারে।
কী বলছেন খাদ্য সুরক্ষা কমিশনার?
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে খাদ্য সুরক্ষা কমিশনার শ্রীনিবাস কে জানিয়েছেন, সারা রাজ্য থেকেই পানিপুরি নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। আর তারপরেই পানিপুরির গুণগত মান ও হাইজিন নিয়ে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে খাদ্য সুরক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেও খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে।
কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি
খাদ্য সুরক্ষা কমিশনার হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন আরও কিছু নমুনা পরীক্ষা করে দেখার পর ফলাফল দেখে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি
প্রসঙ্গত, বাংলাতেও ফুচকা বিক্রির ক্ষেত্রে বেশ কিছু জায়গায় নিয়ম ভাঙা হয়। অপরিষ্কার হাতে ফুচকা পরিবেশন থেকে অস্বাস্থ্যকর জল ও পরিবেশ এসবই রাজ্যের অলিগলির ফুচকার দোকানের চেনা ছবি। কিন্তু বাংলার খাদ্যসুরক্ষা দফতরের নজরে কবে এই সমস্যা আসে এখন সেটাই দেখার।