মেলেনি সেনার অনুমতি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগামী সপ্তাহে শহীদ মিনারে সভা ঘিরে জটিলতা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : শহীদ মিনারে তৃণমূল ছাত্র ও যুব সংগঠনের ডাকে আগামী ২৯ শে মার্চ যৌথ সভা হওয়ার কথা। এই সভায় প্রধান বক্তা থাকবেন তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিন্তু অভিষেকের এই সভা ঘিরে তৈরি হয়েছে জটিলতা। সেনার পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে সভা করার অনুমতি এখনো মেলেনি বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।

জানা যাচ্ছে, যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেনাবাহিনীর (Indian Army) পক্ষ থেকে সভা করার অনুমতি না মেলে তাহলে তৃণমূল দারস্থ হতে পারে আদালতের। মহার্ঘ ভাতার দাবীতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা এই মুহূর্তে অবস্থান করছেন ধর্মতলার শহীদ মিনারে। এই আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরে চালাচ্ছেন তারা। অন্যদিকে, আগামী সপ্তাহে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাও এই শহীদ মিনারে।

স্বাভাবিকভাবেই সেই সভায় বিপুল জনসমাগম হবে। সেই কথা মাথায় রেখে ডিসি সাউথের অফিস থেকে একটি ইমেইল করা হয় আন্দোলনকারীদের। পুলিশের তরফ থেকে সেই ইমেইলে বলা হয়েছে একটি রাজনৈতিক দলের সভার কারণে সেদিন যেন আন্দোলনকারীরা সেই জায়গা থেকে সরে যান। তবে আন্দোলনকারীরা পুলিশের এই অনুরোধ মানতে নারাজ।

তাদের বক্তব্য, “আমরা ধর্না দিচ্ছি আদালতের অনুমতি নিয়ে। এই আন্দোলন কেন আমরা স্থগিত রাখবো? কিভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হবে সেটা পুলিশ বুঝুক। পুলিশ সিদ্ধান্ত নিক এই মুহূর্তে ময়দানে অন্য রাজনৈতিক দলের সভার অনুমতি দেওয়া হবে কিনা।” অপরপক্ষে শহীদ মিনারের সভা করার অনুমতি চেয়ে সেনার কাছে চিঠি পাঠায় তৃণমূল।

abhishek

সেনা পাল্টা চিঠি দিয়ে জানায় এই মুহূর্তে শহীদ মিনার চত্বরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারীরা। কিভাবে সেখানে সভা করার অনুমতি দেওয়া সম্ভব? এই বিষয়ে কুনাল ঘোষ বলেছেন, “এইভাবে জায়গা আটকে রাখার কোনও মানে হয় না। রাজনৈতিক সমাবেশের জন্য একদিন জায়গাটা ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল। এটা কি কোনও সৌজন্য? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে দিয়ে বিজেপি এটা করছে। “

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর