বাংলাহান্ট ডেস্ক : আর কিছুদিন পর শেষ হয়ে যাবে ২০২২। গোটা পৃথিবী আপন করে নেবে ২০২৩ সালকে। সব বছরই প্রত্যেকটি দেশের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লাভ-ক্ষতি, উন্নয়ন কিংবা বিপর্যয়কে ঘিরে আবর্তিত হয় গোটা একটা বছর। বাংলাদেশের কাছেও ২০২২ সাল ছিল রীতিমতো ঘটনাবহুল। একদিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন যেমন উন্নয়নের নতুন দরজা খুলে দিয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে, তেমনই বন্যায় লক্ষ লক্ষ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি চিন্তিত করে তুলেছে বাংলাদেশের প্রশাসনকে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ২০২২ সাল বাংলাদেশের কাছে কেমন ছিল।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন: ২০২২ সাল বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। এই বছরে উদ্বোধন হয় বাংলাদেশের সব থেকে বড় সেতু পদ্মা সেতুর। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘটনাকে বাংলাদেশের ইতিহাসে ঐতিহাসিক হিসাবে অভিহিত করেছেন। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়াই সম্পূর্ণ নিজ প্রযুক্তিতে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে। বহু টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের যানবাহনের সমস্যা অনেকটাই মিটিয়েছে। এছাড়াও এই সেতু থেকে উত্তোলিত ট্যাক্স হাসি ফুটিয়েছে কোষাগারের।
ভয়াবহ আগুন নারায়ণগঞ্জ ইপিজেডে: ২০২২ সালে বেশ কিছু বড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছর ১৭ ই জুন নারায়ণগঞ্জ ইপিজেডের ভিতর একটি কারখানায় ভয়াবহভাবে আগুন লাগে। তিন কিলোমিটার দূর থেকেও দেখা যায় এই আগুনের শিখা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই আগুন লাগার ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল।
সীতাকুন্ডে কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ: এই বছর জুন মাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বি এম কন্টেনার ডিপোতে। এই বিস্ফোরণের ফলে কেঁপে ওঠে আশেপাশের চার বর্গ কিলোমিটার এলাকা। ভেঙে পড়ে আশেপাশের বাড়ির জানালার কাঁচ। এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ৪১ জন। আহত হন ৪৫০ এরও বেশি মানুষ।
ভয়াবহ বন্যা: বাংলাদেশ মাঝেমধ্যেই শিকার হয় ভয়াবহ বন্যার। কিন্তু ২০২২ সালের বন্যা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়ংকর একটি ঘটনা। এই বন্যার কবলে পড়েছিলেন কয়েক লক্ষ মানুষ। গত জুন মাসে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনায়। সরকারি হিসাব মতে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয় যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিদ্যুৎ পরিষেবা পর্যন্ত বন্ধ করতে হয়। এই ঘটনায় প্রাণ হারান ৭০ জনেরও বেশি মানুষ।
ভারত সফরে শেখ হাসিনা: ভারত- বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এই বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর। ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাসিনা ভারত সফরে আসেন। এই সময়ে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় সাতটি সমঝোতা স্মারক।