বাংলা হান্ট ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার পর থেকে টানা এক সপ্তাহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে উত্তেজনা অব্যাহত। শুরুটা হয়েছিল উত্তর পূর্ব রাজ্য আসামে। আসাম থেকে সেই ক্ষোভের আগুন আসতে আসতে ত্রিপুরা তার পর মেঘালয় এবং সর্বশেষে পশ্চিমবঙ্গে থাবা বসেছে । যদিও সর্বশেষ বললে ভুল হয় কারণ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করেছে কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যেভাবে ক্ষোভের আগুন উস্কে উঠেছে ঠিক তারই মধ্যে আন্দোলনকারীরাই যেন ক্ষোভের মধ্যে এক আনন্দের পথ খুঁজে নিয়েছেন।
তাই তো লাগাতার আন্দোলনের মাঝে 34 নম্বর জাতীয় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে মাংসভাত পিকনিকে মাতলেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের মতে অন্য ভাবে অভিনব ভাবে প্রতিবাদ করার জন্যও এই রান্নার আয়োজন। তবে শুধুমাত্র রান্নার আয়োজন করাই নয় রীতিমতো পাত পেড়ে মাংস ভাত খেলেন বিক্ষোভকারীরা। রাজ্যের মালদহ মুর্শিদাবাদ হাওড়া উত্তর চব্বিশ পরগনা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় কখনও রেল অবরোধ আবার সড়ক অবরোধ করে শুক্রবার থেকে বিক্ষোভ চলছে।
ঠিক সেই বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর কামদেবপুর এলাকায়। বিক্ষোভকারীরা হাঁড়ি করা তেল মশলাপাতি জোগাড় করে খাওয়া দাওয়া এবং ভুড়ি ভোজে মেতে উঠেছেন। সকলেই বলছেন সকলের ইচ্ছাতেই চাঁদা তুলে এমন কর্মকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ায় নাগরিকত্ব সংশোধন বিল বা CAB-তে স্বাক্ষর করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তার ফলে বর্তমানে আইনে পরিণত হয়েছে CAB। আর তারপরই শুক্রবার থেকে আন্দোলনে আঁচে ফুঁসছে বাংলার একাধিক জেলা। সেই আগুন এতটাই পৌঁছে যাচ্ছে যে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। আর সেই বিক্ষোভ কে প্রশমিত করবার কোন লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না প্রশাসনের মধ্যে। ওইদিন হাওড়ার উলুবেড়িয়া, বাগনান এবং মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় স্টেশনে। ভাঙচুর চালানো হয় বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেসেও। এমনকি টোলপ্লাজা তো আগুন লাগার ঘটনা সামনে এসেছে শনিবার সকালে রাজ্যের পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি।