বাংলা হান্ট ডেস্ক :রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিলেই গেছে। তাই কার্যকর হতে চলেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, যার মাধ্যমে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা সমস্ত হিন্দুরা নাগরিকত্বের অধিকারী হবেন। অর্থাত্, যাঁরা কমপক্ষে
পাঁচ বছর এদেশে রয়েছেন তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তা নিয়েই উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। কেন্দ্র একটি সম্প্রদায়কে বেছে বেছে এই অধিকার দেওয়া হবে। যদিও এর সপক্ষে যুক্তি খাড়া করেছে কেন্দ্র। তিন দেশে হিন্দুরা সংখ্যালঘু বলেই দায় সেড়েছে। কিন্তু তাতেও প্রতিবাদের আগুন নিভছে না।
বিজেপির পক্ষে থেকেও অনেকেই এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিপক্ষে কথা বলেছেন। তবে এবার বিহারে বিজেপির শরিক দল জেডিইউ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রশান্ত কিশোরও প্রতিবাদে মাঠে নামলেন।তাই ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব বিরোধী প্রশ্ন ও মন্তব্য করায় তাঁকে শোকজ করেছে দল। তবে এবার সেই স্বয়ং ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর কেন্দ্রের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ নিয়ে সমস্ত অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের এক হয়ের বার্তা দিলেন।
যদিও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিপক্ষেই সুর তুলেছেন। তাই এবার খানিকটা হলেও তাঁর পথে হাঁটলেন প্রশান্ত কিষোর। তাই শুক্রবার ট্যুইট করে ‘সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এখন বিচারবিভাগ ছাড়া ভারতের আত্মাকে রক্ষা করার দায়িত্ব ১৬ জন অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর উপর। কারণ সেই রাজ্যগুলিকেও নিজেদের জায়গায় এই আইন কার্যকরী করতে হবে। CAB ও NRC-কে না করে দিয়েছেন তিন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার সময় এসেছে অন্যান্যদেরও।’
লেখেন প্রশান্ত কিশোর। একইসঙ্গে তিনি ট্যুইট করে আরও লেখেন, প্রশান্ত কিশোর ট্যুইট করে লেখেন, ‘জনতা দল ইউনাইটেড লোকসভায় নাগরিকতা সংশোধন বিলকে সমর্থন দেওয়াতে আমি হতাশ। এই বিল নাগরিকতার অধিকারের দিক থেকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন সৃষ্টি করবে। এটি দলের সংবিধানের সাথে মিল খায়না, দলের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দ প্রথম পাতাতেই তিন বার লেখা আছে। দলের নেতৃত্বে যারা আছেন, তাঁরা গান্ধীর সিদ্ধান্ত মানেন।”