বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্যে এমন অনেক প্রাথমিক স্কুল রয়েছে যেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা একেবারেই কম অথচ তার তুলনায় শিক্ষকদের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের বিদ্যালয়ের নজির রয়েছে অনেক। তাই তো রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়াতে পঞ্চম শ্রেণীকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় এবার সরব হল শিক্ষক সংগঠনের একাংশ।
দাবি পরিকাঠামোহীন বিদ্যালয়কে পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা কোনও ভাবেই ঠিক নয়, কারণ রাজ্যের সমস্ত স্কুলগুলিতে কিন্তু আট নয়জন করে শিক্ষক শিক্ষিকা নেই। আর সে ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হবে পড়ুয়া থেকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। যেহেতু রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে আঠারো হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হয়েছে সে ক্ষেত্রে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সদস্যরা।
কারণ যে সমস্ত স্কুলগুলিতে দু থেকে তিন জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে সে ক্ষেত্রে পঞ্চম শ্রেণী অবধি চালু হলে সেই স্কুলে এক দিকে যেমন পড়াশোনার মান অবনতি হবে অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই সর্বাগ্রে শিক্ষাব্যবস্থার ভিত মজবুত করার জন্য পরিকাঠামো ব্যবস্থাকে উন্নত করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। আর এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন এমন অনেক স্কুল রয়েছে যেখানে শিক্ষকদের সংখ্যা মাত্র দুজন আর সেই স্কুল যেহেতু পঞ্চম শ্রেণী উদ্দিনের জন্য অনুমোদন পেয়েছে সে ক্ষেত্রে সেই স্কুলের পড়াশোনা গুনগত মান কেমন হবে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
অন্য দিকে রাজ্য সরকারের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে পঞ্চম শ্রেণী অবধি চালু করার জন্য ইতিমধ্যেই সমস্ত স্কুলের শিক্ষক পড়ুয়া সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতর। সমস্ত স্কুলের ক্লাসরুমের সংখ্যা শিক্ষক শিক্ষিকা ছাত্রছাত্রী সংখ্যা জরুরি ভিত্তিতে জমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগেই।
ইতিমধ্যে সেই তালিকা জমা পড়ে গিয়েছে কিন্তু তা সত্ত্বেও এই সমস্ত স্কুলে কম সংখ্যক ছাত্রছাত্রী রয়েছে সেই স্কুলে কেন পঞ্চম শ্রেণির অনুমোদন দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষক সংগঠন। ।