বাংলা হান্ট ডেস্ক : কখনও ভাতের চাল আবার কখনও মসুর ডালে পাওয়া যাচ্ছে ভেজাল,কখনও আবার ম্যাগিতে পাওয়া যাচ্ছে সিসার মতো মারাত্মক ক্ষতিকারক উপাদানের। তবে এ সবের থেকে দুধ অনেক সুরক্ষিত এমনটা মনে করা হলেও তা যে কতটা ভুল তার প্রমাণ মিলল সম্প্রতি এক গবেষণা তথ্যে। ভারতের সব থেকে অন্যতম বড় সমস্যা হল দুধের সমস্যা, সম্প্রতি ভারতের খাদ্য সুরক্ষা ও মানদণ্ড অথরিটি বা এফএসএসএআই এর গবেষণায় এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
2018 সালে জাতীয় মিল্ক সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি দেশের 1103 টি শহরে নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণা চালিয়ে দেখেছে 97 শতাংশ দুধ খাওয়া নিরাপদ। তবে গত বছর সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সমীক্ষা চালানোর পর 7 শতাংশ নমুনায় আফলে টক্সিন এম ওয়ান অ্যান্টিবায়োটিক এবং কীটনাশক জাতীয় কিছু উপাদান পেয়েছে খাদ্য সুরক্ষা ও মানদণ্ড অথরিটি। একই সঙ্গে তাঁরা উল্লেখ করে ন 41 শতাংশ নমুনা নিরাপদ হলেও একটির মান অন্যটির প্যারামিটারে থেকে অনেক কম।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এফএসএসএআই এর সিইও জানিয়েছেন, দেশব্যাপী দুধ নিরাপদ বলে বিক্রি করা হলেও গবেষকরা যে নমুনা সংগ্রহ করেছেন তার মধ্যে 7 শতাংশ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক, সেখানে ডিটারজেন্ট ইউরিয়ার মতো ক্ষতিকারক উপাদান পাওয়া গিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন সাধারণ মানুষের মধ্যে দুধের ভেজাল মেশানো ধারণাটি একেবারেই ভুল। পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে যে সমস্ত দুধের নমুনায় ভেজাল পাওয়া গিয়েছে সেখানে হাইড্রোজেন পারক্সাইড ডিটারজেন্ট ইউরিয়া জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করে ইচ্ছাকৃতভাবে ভেজাল প্রমাণ করার চেষ্টা হয়েছে।
2017-18 সালে দেশে 176.3 মিলিয়ন দুধ উত্পন্ন হয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে মোট উত্পাদিত দুধের 20 শতাংশ বলে জানা গিয়েছে। তাই প্যাকেটজাত দুধ কে আমরা যতই নিরাপদ বলে থাকি না কেন সর্ষের মধ্যে ভূত যে লুকিয়ে থাকে তা কিন্তু বোঝাই গেল। যদিও কয়েক বছর আগে, কলকাতার মতো শহরে দুধে সাদা জাতীয় সানিক কিছু মেশানো হচ্ছে এমন খবর ধরা পড়েছিল সংবাদ মাধ্যমে, এর পর সেই তালিকায় নাম জুড়ল প্যাকেটজাত দুধের।