বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিপুল পরিমাণ বকেয়া বিল বাকি পড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে (Bangladesh) বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে কাটছাঁট করেছিল আদানি গোষ্ঠী। সম্প্রতি আদানিদের বকেয়া কিছুটা মেটাতে পেরেছে বাংলাদেশ। ইউনূস সরকারের তরফে নিয়মিত বকেয়া পরিশোধ শুরু করায় ফের বাংলাদেশে পূর্ণমাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করল গৌতম আদানির প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার।
বিদ্যুতের জন্য বাংলাদেশের (Bangladesh) ভরসা ভারত
জানা যাচ্ছে, ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টের সম্পূর্ণ সক্ষমতা অর্থাৎ ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতই সরবরাহ করা হচ্ছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায়, আদানি পাওয়ার গত বছর থেকে সে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে। বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) জানিয়েছে, চার মাস পর ফের পূর্ণমাত্রায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে আদানি গোষ্ঠী।
আরও পড়ুন : মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে পড়ল বহুতল! ধ্বংস হল ব্রিজ, ভূমিকম্পে ভয়াবহ অবস্থা মায়ানমার-ব্যাংককের
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানান, ‘আমরা নিয়মিতভাবে আদানিকে অর্থ পরিশোধ করছি এবং আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি।’ তবে ঠিক কত পরিমান বকেয়া বিল পরিশোধ করা হয়েছে সেই বিষয়ে কিছু জানাননি বিপিডিবি চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন : নববর্ষের উপহার, সরকারি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর! জারি করা হল বিজ্ঞপ্তি
গত বছর বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন ও আর্থিক প্রতিকূলতার কারণে রিজার্ভ সংকটে ভুগতে শুরু করে ওপার বাংলা। আদানি গোষ্ঠীর কাছে বাকি পড়ে যায় বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল। এই অবস্থায় গত বছর নভেম্বর মাসে ঝাড়খণ্ডের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে আদানি পাওয়ার লিমিটেড।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের একাধিক প্রান্তে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসন্ন বৈশাখ ও জৈষ্ঠ মাসে তীব্র তাপদাহে পুড়বে গোটা বাংলাদেশ। এই অবস্থায় বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ইউনূস সরকারের কাছে। তবে ফের পূর্ণ মাত্রায় আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ (Electricity) সরবরাহ শুরু করায় মনে করা হচ্ছে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কিছুটা হলেও কমতে পারে।
অন্যদিকে, এই সম্পূর্ণ বিষয়টির সঙ্গে জড়িত কিছু ব্যক্তির দাবি, ৮৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া বিলের পরিমাণ এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৮০০ মিলিয়ন ডলারে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধ করার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh)। কোম্পানির কার্যকরী মূলধনের অভাব যাতে হ্রাস পায় সেই ব্যাপারে নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য আদানির ঋণদাতাদের গ্যারান্টিও দিয়েছে বিপিডিবি।