বাংলা হান্ট ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) সবথেকে বেশিদিন মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan)। ইতিমধ্যেই তিনি একাধিক নজিরবিহীন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সম্প্রতি তিনি বিমান মারফত প্রবীণদেরকে তীর্থযাত্রায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও শুরু করেছেন। এদিকে, মধ্যপ্রদেশই হল দেশের প্রথম রাজ্য যেটি এহেন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
পাশাপাশি, চৌহান সরকার আদিবাসীদের কল্যাণে একাধিক প্রকল্পও পরিচালনা করছে। তা সত্বেও সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে যেটি সেই রাজ্যকে রীতিমতো প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই ঘটনাটি জানার পর আসবে চোখে জলও। এমনকি, সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষদের জীবন যে কতটা কষ্টকর সেই সত্যও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ওই ঘটনায়।
ঠিক কি ঘটেছে: মূলত, আমরা যে ঘটনাটির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করছি সেটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের শেওপুর জেলায়। জানা গিয়েছে, গত রবিবার এক আদিবাসী মহিলা তাঁর স্বামীর চিকিৎসার জন্য শেওপুরে এসেছিলেন। করাহল উন্নয়ন ব্লক থেকে শেওপুরে আসা ওই আদিবাসী মহিলার সঙ্গে ছিল তাঁর তিন সন্তানও। কোলে একটি শিশুকে নিয়ে বাকিদের সাথে হাঁটতে থাকেন ওই মহিলা। এদিকে, প্রখর রোদে যখন একদিকে বাড়ি থেকে বেরোনোটাই কঠিন হয়ে পড়ছে সেখানে খালি পায়ে তপ্ত রাস্তার মধ্য দিয়ে হেঁটে চলেছিল শিশুগুলি।
সাহায্য করেছেন সংবাদমাধ্যমের কর্মী: এদিকে, ওই সন্তানদের পায়ে যাতে ফোসকা না পড়ে যায় সেই কারণে তাদের পায়ে পলিথিন বেঁধে দেন ওই মহিলা। এমতাবস্থায়, সংবাদমাধ্যমের একজন কর্মী তাদের এই অবস্থায় দেখে শিশুদের জুতো কিনে দেন এবং ওই মহিলার স্বামীর চিকিৎসা করাতেও সাহায্য করেন।
রয়েছে একাধিক প্রকল্প: উল্লেখ্য যে, আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি থেকে প্রায়শই এই ধরণের হৃদয়বিদারক ছবি সামনে আসে। তবে, তাঁদের জন্য শুধু রাজ্যই নয়, বরং কেন্দ্রীয় সরকারও একাধিক প্রকল্প পরিচালনা করে। কিন্তু সেগুলির বাস্তবে খুব একটা প্রভাব দেখায যায়না না। কিছু কিছু জায়গায় আদিবাসীরা এখনও উন্নয়নের আলো থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছেন । আর সেই কারণে তাঁদের জীবনযাপনে করতে হয় কঠিন সংগ্রামও।