নদিয়ায় আজব নিয়ম! মাছ, মিষ্টি নয়! জামাইষষ্ঠীতে শশুরবাড়িতে নিয়ে যেতে হবে আধার কার্ড

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজকের দিনে বাংলার সব জামাইরাই মিষ্টি আর উপহারের ডালি আর মুখে একগাল হাসি হাজির হচ্ছেন শ্বশুরবাড়ি (In Laws House)। কিন্তু সীমান্তের কাঁটাতারের সামনে নদীয়ার চর মেঘনার জামাইদের জামাইষষ্ঠীর (Jamai Sasthi) ছবিটা কিন্তু একটু অন্যরকম। তাই রোদে তেতে পুড়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়াটাই বৃথা হয়ে যাবে যদি না সঙ্গে থাকে আধার কার্ড (Aadhar Card)।

আসলে আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তার কথা ভেবেই প্রত্যেকবার বেশ কিছু নিরাপত্তার বেড়াজাল টপকে তবেই জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার অনুমতি সীমান্ত পারের জামাইরা। সামান্য কিছু ভুলত্রুটি  হলেই কাঁটাতারের বেড়ায় আটকে যায় তাদের জামাইষষ্ঠী। তাই থেকেও জামাইদের বারবার মনে করানো হয় সবকিছু ভুলে গেলেও যেন আধার কার্ড নিয়ে আসতে না ভোলেন কেউ। তা না হলে শ্বশুরবাড়ির কাছে এসেও শুকনো মুখেই নিরুপায় হয়েই বাড়ি ফিরে যেতে জামাইদের।

আসলে নদীয়ার হোগলবেড়িয়া থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১২০ নম্বর কাঁটাতারের গেট পেরোলেই  চর মেঘনা বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের ১২০ নম্বর গেট থেকে দেড় কিলোমিটার এগিয়ে গেলেই পড়বে গ্রাম। পশ্চিমের কাঁটাতারের বেড়া আর পূর্ব দিকে সীমান্ত বরাবর মাথাভাঙ্গা নদী। সেখানে পরিচয় পত্র জমা দিলে তবেই অনুমতি মেলে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার।

আরও পড়ুন: ‘মোবাইল নিষিদ্ধ…’, আর সহ্য করতে না পেরে বিরাট নির্দেশ ক্ষুব্ধ মমতার

শুধু তাই নয় রয়েছে আরও একাধিক নিয়ম। তাই শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার আগেই স্পষ্ট করেই  জানিয়ে যেতে হয় কবে ফিরবেন? পরিচয় পত্রের ছবির সাথে কোনভাবে মুখের অমিল খুঁজে পাওয়া গেলোই আটকে দেওয়া হয় জামাইদের। এরপর সোজা খবর যায় শ্বশুরবাড়িতে। শ্বশুর বাড়ির লোক এসে জামাই  শনাক্তকরের পরেই মেলে  অনুমতি। তবে চর মেঘনার জামাইদের এই অভিজ্ঞতা নতুন নয়। আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকার সামগ্রিক নিরাপত্তার কথা ভেবেই এহেন কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় সবাইকেই।

Aadhar card

এই বিষয়ে বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি একে আর্য জানিয়েছেন, ‘কাঁটাতারের ও পারের বাসিন্দাদের কোনও রকম অসুবিধা হয় না। তবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় সামগ্রিক নিরাপত্তার কথা ভেবে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-কানুন মেনে অতিথি-অভ্যাগতদের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। আর কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর