বাংলা হান্ট ডেস্ক : টানা সাত দিনের ম্যারাথন তল্লাশি ও তদন্তের পর অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেও জিয়াগঞ্জের শিক্ষক এবং তাঁর পরিবার খুনের ঘটনায় অভিযুক্তও। যদিও জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের কিনারা করতে পেরেছে পুলিশ কিন্তু তাতেও পুলিশি তদন্ত ঘিরে উঠছে অনেক প্রশ্ন, তবে মাত্র পাঁচ মিনিটে একই পরিবারের তিন সদস্যকে আততায়ী কী ভাবে খুন করলেন? এত অল্প সময়ের মধ্যে মাথা খাটিয়ে তিন জনকে খুন করা আদৌ কি সম্ভব? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিহত শিক্ষক বন্ধু প্রকাশ পালের মা, একই সঙ্গে এই খুনের ঘটনায় কোনও পাকা মাথার হাত রয়েছে বলেই দাবি করেছেন তিনি।
দশমীর দিন সকালে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষক বন্ধু প্রকাশ পাল ও তাঁর স্ত্রী সন্তানকে খুন করেন উত্পল বেহরা যদিও ছেলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ মানতে চান না উ পলের বাবা মা এবং দিদি। জানা গিয়েছে সপ্তম দিন দিদির বাড়িতে গিয়েছিল উত্পল তার পর সেখান থেকে দশমীর দিন বন্ধু প্রকাশ পাল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুন করে তবে বাড়িতে ফেরেন তিনি। টানা সাত দিন তদন্তের পর অবশেষে মঙ্গলবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে বন্ধু প্রকাশ পাল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনে অভিযুক্ত উত্পল বেহরা
জানা গিয়েছে বিমার 24 হাজার টাকা নিয়েই যত বিবাদ, নিহত বন্ধু প্রকাশ পালের কাছ থেকে উত্পল বেহরা বিমার টাকা চাইতে গেলে বারবার তাঁকে কটূক্তিও করেছিলেন বন্ধু প্রকাশ পাল এমনটাই অভিযোগ, তা হলে সেই বিমার টাকা না পেয়েই কি খুন? নাকি পিছনে রয়েছে অন্য কারণ? এই প্রশ্ন যেমন ভাবাচ্ছে তেমনই মাত্র পাঁচ মিনিটে তিন তিনটি মানুষকে কী ভাবে খুন করতে পারল সে এই প্রশ্ন ঘোরা ফেরা করছে জিয়াগঞ্জের বাতাসে?
অন্য দিকে আরও একটি প্রশ্ন তো মাথা ছাড়া দিয়ে দাঁড়িয়েছে তা হল খুনের সময় বন্ধু প্রকাশ পাল কিংবা তাঁর স্ত্রী বিউটি দেবী কিংবা পুত্র অঙ্গনের চেঁচামেচির আওয়াজ কি কেউই শুনতে পাননি? তাই একাধিক প্রশ্ন যেমন ঘুর পাক খাচ্ছে ঠিক তেমনই পুলিশি তদন্ত ঘিরে উঠছে প্রশ্ন।