বিক্রম, প্রজ্ঞান না জাগলেও ক্ষতি নেই! ইসরোর এই যন্ত্রই এখন বড় হাতিয়ার বিজ্ঞানীদের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) ইতিমধ্যেই মহাকাশ বিজ্ঞানের জগতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। ভারত পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের খেতাব জয় করে নিয়েছে। এমন অবস্থায় গোটা পৃথিবীতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ইসরোর চন্দ্রযান-৩। সাফল্যের পাশাপাশি ইসরোর এই চন্দ্র অভিযান ঘিরে অনেক দেশ শুরু করেছে সমালোচনাও।

ভারতের এই মহাকাশ সাফল্য নিয়ে কিছুদিন আগেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে চীন। কিন্তু এসবের মধ্যেও এখন অনেকের মনে কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) এবং রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan)। চাঁদে সূর্য ডুবে যাওয়ার পর গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে স্লিপ মুডে পাঠানো হয়েছে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানকে।

আরোও পড়ুন : এখন আর শুধু সমুদ্র স্নান নয়! দিঘার আকর্ষণ বাড়াতে সরকারের এই উদ্যোগ আপনাকে চমকে দেবে

এরপর চাঁদে সূর্য ওঠার পর ২২ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় বিক্রম এবং প্রজ্ঞানকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ইসরোর বিজ্ঞানীরা সেই চেষ্টায় সফল হননি। ইসরো জানিয়েছে এই অবস্থায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। বিক্রম এবং প্রজ্ঞানকে এখনো পর্যন্ত জাগানো না যাওয়ায় অনেকেই বিমর্ষ হয়ে পড়ছেন।

আরোও পড়ুন : ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, ট্রাকের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গেল অভিনেত্রীর গাড়ি! কেমন আছেন তিশা?

তবে আপনাদের বলে রাখি বিজ্ঞানীদের কিন্তু এই বিষয়ে বিন্দুমাত্র দুঃখ নেই। যদি বিক্রম ও প্রজ্ঞান ঘুম থেকে না জাগে তাহলেও ইসরোর বিজ্ঞানীদের খুব একটা বড় সমস্যা হবে না। বিক্রম এবং প্রজ্ঞান ঘুমিয়ে থাকলেও চন্দ্রযান-৩ এরই প্রোপালশন মডিউল কিন্তু সক্রিয় রয়েছে। ক্রমাগত নিজের কাজ করে চলেছে চন্দ্রযান-৩ এর প্রোপালশন মডিউল।

Why is Chandrayaan's lander named "Vikram"

একটি বৈজ্ঞানিক পোলাড রয়েছে এই প্রোপালশন মডিউলের এবং এটি চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে ৫২ দিন ধরে। চাঁদের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীকে নিরীক্ষণ করার জন্য স্পেকট্রো পোলারিমেট্রি অফ হ্যাবিটেবল প্ল্যানেট আর্থ (SHAPE) যন্ত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। জানা গেছে আগামী ছয় মাসের জন্য কাজ করবে এই মডিউল।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর