সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ৩৫০ কিমি! এবার সমুদ্রের ওপর দিয়ে প্রথম দ্রুতগামী ট্রেন পরিষেবা চালু করল চিন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের (India) পড়শি দেশ চিন (China) উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থার লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার প্রথমবারের মতো সমুদ্রের ওপর দিয়ে দ্রুতগামী ট্রেন পরিষেবা শুরু করল জিনপিংয়ের দেশ।

এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সেদেশের সরকার সম্প্রতি দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল বরাবর ২৭৭ কিলোমিটার (১৭২ মাইল) দীর্ঘ হাই-স্পিড রেল লাইন স্থাপন করেছে। শুধু তাই নয়, ওই রেল লাইন চিনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহরকে সংযুক্ত করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ফুজিয়ান প্রদেশের ঝাংঝো, জিয়ামেন এবং ফুঝো-র মতো শহরগুলি।

   

 Now China has launched high-speed train service over the sea

এদিকে, চায়না রেলওযয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে, ওই রুটে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার (২১৭ মাইল) পর্যন্ত হবে। এমতাবস্থায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯ টা ১৫ মিনিট নাগাদ প্রথমবারের মতো ফুজিয়ামার রাজধানী ফুঝো থেকে ওই রুটে সফর শুরু করে ট্রেন।

আরও পড়ুন: Alto-র চেয়েও কম দাম! খরচ মাত্র ৭৫ পয়সা, ২০০০ টাকায় বুক করে ফেলুন দেশের সবথেকে সস্তা গাড়ি

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালে চিন সরকার এই এই রেল লাইন নির্মাণের ঘোষণা করেছিল। এদিকে, ফুজিয়ান প্রদেশটি পাহাড়ি অঞ্চলে থাকায় সেখানে রেলপথ নির্মাণের বিষয়টি ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। যদিও, শেষপর্যন্ত সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে পেরিয়ে অবশেষে সমুদ্রের ওপর দিয়ে রেল লাইন স্থাপনে সক্ষম হয়েছে চিন। ইতিমধ্যেই চায়না রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে যে, এই রেল পরিষেবাটির পরিকাঠামোগত নির্মাণে রোবট এবং পরিবেশবান্ধব ক্ষয়-প্রতিরোধী ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: দোকানদাররা হন সতর্ক! UPI পেমেন্টে মেসেজ এলেও ঢুকছে না টাকা? পড়তে পারেন বড় বিপদে

এদিকে, এই নতুন রেল লাইনটিতে বর্তমানে মোট ৮৪ টি সেতু এবং ২৯ টি টানেল রয়েছে। পাশাপাশি, সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই রেলপথের ২০ কিমি (১২ মাইল) অংশ সরাসরি সমুদ্রের ওপর দিয়ে গিয়েছে। যার ফলে এই ট্রেন পরিষেবাকে চিনের প্রথম “ওভার-ওয়াটার বুলেট ট্রেন পরিষেবা” হিসেবেও বিবেচিত করা হচ্ছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর