বাংলা হান্ট ডেস্ক : হয় নাগরিকত্বের প্রমান দাও নাহলে সমস্ত পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। এর এই বাক্যকে সামনে নিয়ে এখন সমস্যার মুখে হাজার হাজার মানুষ। বায়োমেট্রিক নাগরিকত্বের প্রমান দিতে এখন দিশেহারা তাঁরা। টাকা জমা দেওয়া থেকে শুরু করে যেকোনো পরিষেবা পেতে গেলে এই আধার কার্ড ছাড়া আপনি এখন বিদেশি বলেই পরিচিত হবে। তাই আধার কার্ডে নাম তুলতে গিয়ে রাতভর ধরে ছেলে মেয়ে বউ নিয়ে ব্যাঙ্কের সামনে লম্বাই লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শহরবাসী। চিত্রটি জলপাইগুড়ির পিসি শর্মা মোড়ের ওপর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের। আগে আধার কার্ডের জন্য সার্ভিস পয়েন্ট করা হয়েছিল। কিন্তু এখন আধার কার্ডে নাম তুলতে গিয়ে মাথার চুল ছেড়া অবস্থা এই সমস্ত মানুষদের। তাই রাতে ঘুম নেই, খাওয়া নেই কিন্তু নাগরিকত্বের প্রমান দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরী। তাই ওই ব্যাঙ্কের সামনে প্রায় ধর্না দিয়েছেন মানুষ।
তবে ওই ব্যাঙ্কে কুড়ি জনের বেশি নাম তোলেন না। অথচ প্রতিদিন গড়ে 100 জন করে লাইনে দাঁড়ান। কার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে তা ভাগ্যেরই ব্যাপার। মঙ্গলবার সকালে 10টায় ব্যাঙ্ক খুলবে তার জন্য সোমবার রাত দশটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ নাগরিক।অনেকেই বার কয়েক এসেও নাম তুলতে পারেননি। অথচ দেশের সরকারের নিয়েম তাই নাম তুলতেই হবে। যদিও দেশের শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে আধার কার্ড বাধ্যমূলক নয় বলেই ঘোষনা করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও ব্যাঙ্ক থেকে বীমা ও যেকোনো সরকারি ক্ষেত্রে আধার কার্ডকেই বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।
ইউপিএ সরকারের সময়েই আধারে নাম তোলা ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের সময় ক্যাম্প করে আধার কার্ড তৈরি করা হয়েছে। এমনকি মোদী সরকারের সময়েও আধার কার্ড পঞ্চায়েত ও পৌরসভায় নাম তোলার কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা রাখে তত্কালীন সরকার। তবে মোদী সরকারের আমলে তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।