বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়, আর অদম্য ইচ্ছার কাছে হার মানে চরম দারিদ্রতাও। আর তার সঙ্গে যদি থাকে মেধা তাহলে তো আর কোন কথাই থাকে না। এ ঘটনা আজকের না, এ লড়াই কয়েক শতক পুরনো। প্রতিভাবানেরা অবশ্য চিরকালই গোল দিয়েছে দারিদ্রতাকে। এবার ফের একই ছবি উঠে এল মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ইন্দোর থেকে।
এক মুজুর পরিবারের মেয়ে ভারতী খান্ডেরকর (Bharati Khanderkar) প্রমাণ করেছে, ইচ্ছা ও প্রতিভা থাকলে দারিদ্রতা পড়াশোনার ক্ষেত্রে হয়তো বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। মাধ্যমিকে ফার্স্ট ডিভিশন পাওয়ায় তাঁকে একটা গোটা ফ্ল্যাট উপহার দিল ইন্দোর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন।
ইন্দোর পৌর কমিশনার প্রতিভা পালের নির্দেশের পরেই সিটি ইঞ্জিনিয়ার মহেশ শর্মা ভারতী খন্দেকারের পরিবারকে তাঁদের নতুন বাড়ির খবর জানায়। ভারতী মাধ্যমিকে ৬৮% নম্বর পেয়েছে।
ইন্দোরের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রশান্ত দিঘে জানিয়েছেন, “ইন্দোরের একটি মেয়ে যে কিনা ফুটপাতে থাকে, সে মাধ্যমিকে ফার্স্ট ডিভিশনে পাশ করেছে। কমিশনার এই বিষয়টি বিবেচনা করে তাঁকে একটি ১ বিএইচকে ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছেন। পাশাপাশি মেয়েটি যাতে নিখরচায় আরও পড়াশোনা করতে পারে, সে ব্যবস্থাও করা হবে। ইতিমধ্যে তাঁকে টেবিল, চেয়ার, বই, জামাকাপড়ও দেওয়া হয়েছে।”
নতুন বাড়ি পাওয়ার পরে ভারতীর বাবা দশরথ খান্ডেরকরের খুশি এই মুহূর্তে বাধন ছাড়া। তিনি জানিয়েছেন, কখনও স্কুলে না গেলেও তিনি তার সন্তানদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে কঠোর পরিশ্রম করছিলেন। শিবাজি মার্কেটের ফুটপাথের সামনের দিকে একটি কুঁড়েঘরে তাঁরা থাকতেন। তবে তাও ভেঙে ফেলা হয়েছিল।