বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই শিশুচোর সন্দেহে গণ পিটুনির (Massacre) অভিযোগ আসছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে। বিশেষ করে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত সংলগ্ন এলাকায় ছেলে ধরার ঘটনায় বিনা দোষে গণপিটুনির মুখে পড়েছেন অনেকে। তবে এবার খাস কলকাতার বউবাজার (Kolkata Bowbazar) এলাকায় মোবাইল চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির।
বউবাজারের উদয়ন হোস্টেলে (Udayan Hostel) এই গণপিটুনির সন্দেহে মৃত্যু হয়েছে ইরশাদ নামে এক ব্যক্তির। তার বয়স ৩৭ বছর। কলকাতার চাঁদনী চক এলাকায় একটি টিভি সারাইয়ের দোকানে কাজ করতেন তিনি। ওই মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর অভিযোগ মোবাইল চোর সন্দেহে তাকে মারধর করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই হোস্টেলের দোতালায় এই কাণ্ড ঘটিয়েছে একদল ছাত্র।
এই ঘটনায় হোস্টেল থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় জনকে আটক করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে তাদের মধ্যে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন ওই ব্যক্তিকে এভাবে মারধর করা হলো? পুলিশ সূত্রে খবর এই ঘটনার সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার। ওইদিন হোস্টেলের এক ছাত্রের মোবাইল ফোন চুরি হয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারি হাসপাতালে কৰ্মী নিয়োগ! যোগ্যতা কি? চমকে দেবে মাসিক বেতন
চুরি যাওয়া ফোন পেতে থানার অভিযোগ করার পরে শুক্রবার হোস্টেলের পাশে এক দোকানের মালিক ছাত্রদের জানান একটি লোক নাকি এলাকায় ঘুরঘুর করছেন। অভিযোগ ওই দোকানদার বলার পরেই হোস্টেলের সামনে ফুটপাত থেকে ওই ব্যক্তিকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় একদল ছাত্র। শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বউবাজার থানার পুলিশ।
কিন্তু তাদের জন্য দরজা খোলা হয়নি বলে অভিযোগ। জানা যাচ্ছে,দোতলায় মারধরের পর ইরশাদকে সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে আনা হয়েছিল। সেসময় সে হিন্দিতে বলেছিল ‘খুব মেরেছে’। এরপর তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে মৃতের পায়ে আঘাত লেগেছে। এই মুহূর্তে স্থানীয় সিসিটিভি ক্যামেরার জোগাড় করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।