বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় বিভিন্ন শক্তিধর দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ভিত মজবুত হয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে। মনমোহন সিং সরকারের আমলে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক ততটাও মজবুত ছিল না। তাই সেসময় ভারত ও মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যবসা শূন্য ছিল কিন্তু মোদী জমানায় যেভাবে আমেরিকার সঙ্গে প্রতিরক্ষা ব্যবসা দৃড় হয়েছে তাতে চলতি বছরের মধ্যেই 1800 কোটি ডলার অতিক্রম করবে নবম ডিটিটিআই বৈঠকের আগে এমনটাই জানাল পেন্টাগন।
আগামী সপ্তাহেই দিল্লীতে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ব্যবসার বৈঠক সম্পন্ন হবে, আর সেখানেই উপস্থিত থাকবেন ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সচিব অপূর্ব চন্দ্র। তার আগেই দুই দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করল পেন্টাগন। এমনিতেই কয়েকদিন আগে নিউইয়র্কে মোদী সরকার হউডি মোদী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। তারপর আবারও আরও এক ধাপ এগোল দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি।
এমনিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের মোদী সরকারের স্বপ্নের প্রকল্প মেক ইন ইন্ডিয়াতে সাহায্য করছে। বিভিন্ন মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলি ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতেও উদ্যোগী হয়েছে। লকহিড থেকে শুরু করে বোয়িংয়ের মতো সংস্থাগুলি ভারতকে সাহায্য করতেও চাইছে। তাইতো ভারতের বায়ুসেনার জন্য বিমানও বিক্রি করতে চাইঠে লকহিড। তাই ভারতের বায়ুসেনার তরফ থেকে বিমান কেনার দরপত্রে অংশ নেবে লকহিড মার্টিন।
তবে শুধুমাত্র আকাশপথেই নয় ভারতের বিভিন্ন প্রতিরক্ষা খাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাগুলি হাত মিলিয়ে কাজ করতে চাইছে। তবে কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব মোদী না নেওয়ার প্রাথমিক ভাবে মার্কিন ও ভারত সম্পর্ক অবনতি হতে পারে এমনটা আশা করা হয়েছিল। কিন্তু তা যে একেবারেই ভুল তা প্রমানিত হল।