বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্গাপূজায় অংশ নিয়েছিলেন ওঁরাও। বাজিয়েছিলেন ভক্তিগীতি। এই অপরাধেই বেধড়ক পেটানো হল দুই মহিলাকে। বিহারের (Bihar) গোপালগঞ্জের এই ঘটনায় অভিযোগের তির মুসলিমদের দিকে। জানা যাচ্ছে, এলাকার একটি হনুমান মন্দিরের মধ্যে মারধর করা হয় ওই দুই মহিলাকে।
অপরদিকে মধ্যপ্রদেশের খরগেন এলাকায় এক মুসলিম যুবক অপর এক হিন্দু মহিলাকে মারধর করে শুধুমাত্র দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কারণে। প্রহৃত মহিলার নাক এবং মুখে আঘাত লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। দ্বিতীয় ঘটনায় পুলিস অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, গোপালগঞ্জ মামলায় গোল্ডেন আহমেদ, সবরাতী এবং সাদিদন খাতুনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া আরও ১৫ থেকে ২০ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। নিগৃহীত ৩ মহিলাকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে এই হনুমান মন্দিরে সকাল – সন্ধ্যা ভক্তিগীতি বাজানো হত। এই ঘটনার বিরোধ করে মুসলিম সম্প্রদায়। লাউডস্পিকার বন্ধ না করায় তারা তিন মহিলাকে বেধড়ক মারধর করে। তাঁরা তিন জনই মারাত্মক আহত হন। তিনজনের মধ্যে একজন গুলাবী দেবি জানান, মেয়েরা যখন এই মন্দিরে পূজা দিতে আসেন তখন এই লোকেরা তাঁদের উত্যক্ত করে।
এই ঘটনায় গোপালগঞ্জের সদর এসডিপিও সঞ্জীব কুমার বলেন, ‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন এটা খুবই অবাক করা বিষয় যে একই সমাজ এবং একই এলাকায় থাকা মানুষের ভিতরেও কতটা বিদ্বেষ জমা হয়ে থাকতে পারে।
অপরদিকে মধ্যপ্রদেশের ঘটনাও যথেষ্ট চাঞ্চল্যকর। পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত রবিবার খরগেন এলাকায় ২১ বছরের এক মহিলা পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। তখনই মইন নামে ২১ বীরের এক মুসলিম যুবক তাঁকে রাস্তায় আটকায় হুমকি দিয়ে পুজোর অনুষ্ঠানে না যাওয়ার নির্দেশ দেয়। ওই যুবতি তার কথা মানতে চায়নি। তখনই দুজনে মারপিট শুরু করে। উপস্থিত লোকজন মইনকে ধরার চেষ্টা করলেও সে পালিয়ে যায়। জানা যাচ্ছে, ওই যুবতি হিন্দু সংগঠনের সদস্য ছিলেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।