বাংলা হান্ট ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তেজিত গোটা রাজ্য। প্রথমে উত্তর পূর্বের অসম থেকে শুরু করে ত্রিপুরা তার পরই উত্তেজনার আঁচ ছড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা যেমন মেদিনীপুর মুর্শিদাবাদ উত্তর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সহ একাধিক এলাকায় কোথাও রেল অবরোধ করে আবার গাড়ি ভাঙচুর করে কিংবা কোথাও আবার বাস ভেঙে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।
রাজ্যের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী প্রচারে দুমকায় যাওয়ার সময় অন্ডালে কিছুক্ষণের জন্য নেমেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দুর্গাপুরের দু নম্বর জাতীয় সড়কের ওল্ড কোর্ট মোড়। রীতি মতো ক্ষুব্ধ জনতা কার্যত মোদীর কুশপুতুল দাহ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
জানা গিয়েছে রবিবার আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে নামেন প্রধানমন্ত্রী তার পর রাজ্যের অশান্তির খবর নিয়ে ঝাড়খণ্ডের দুমকার উদ্দেশে রওনা দেন। আর তার আগেই ওল্ড কোর্ট মোড়ে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে মিছিল করে বিক্ষোভ করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু। এমনকি সাময়িক পদযাত্রার আয়োজন করেছিল স্থানীয়রা। এমনিতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে কার্যত উত্তপ্ত গোটা রাজ্য।
শুক্রবার থেকে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এখনও অবধি চিত্র পাল্টায়নি। ইতিমধ্যেই বসিরহাট থেকে শুরু করে মালদা ক্যানিং এবং বিস্তীর্ণ এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে ঝাড়খণ্ডের দুমকায় নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন আমাদের দেশের সংসসংসদে নাগরিকতা আইন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বদল আনা হয়েছে। পাশাপাশি আসাম সহ উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে বিক্ষোভ নিয়ে বিক্ষোভকারীদের বেশভূষায় প্রশ্ন তোলেন তিনি। একই সঙ্গে ঝাড়খণ্ডে এবার পদ্ম ফুল ফুটবে এমনটাই আশাবাদী মোদী
আদিবাসী ভাই আর বোনের পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার বিষয়েও একশো শতাংশ আশাবাদী।অন্যদিকে রাজ্যে যেভাবে ক্ষোভের আগুন উস্কে উঠছে তা প্রশমিত করার কোনও লক্ষণ নেই, হাওড়ার উলুবেড়িয়া বাগনান মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর এবং আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে স্টেশনে অন্যদিকে টোল প্লাজাতে আগুন লাগার খবর এসেছিল যদিও এখনও অবধি পরিস্থিতি সেভাবে উন্নতি হয়নি।