বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিশ্বে যেভাবে জল দূষণের মাত্রা বেড়েছে তাতে দূষিত জল পান করে মানুষ অসুখ বিসুখের শিকার হচ্ছে, তাই দূষিত জলকে বিশুদ্ধ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন ভারতীয় স্থপতিরা। তেমনই বার লেট ডক্টরাল পড়ুয়া শ্লীল মালিক, দূষিত জলকে বিশুদ্ধ করার জন্য সিরামিক টাইলস এবং শ্যাওলার সাহায্য নিয়েছেন তিনি। তার জন্য যে মডুলার প্রাচীরটি তিনি তৈরি করেছেন সেগুলি মাইক্রো লেগে এবং সমুদ্রের হাইড্রো জেলের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত।
জলটি এই স্তরের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় ব্যয়বহুল উপায়ে বিশুদ্ধ হয়ে যায়। সেই টাইল গুলিতে পাতার মতো কিছু চ্যানেল খোদাই করা আছে। শৈবাল হাইড্রোজেন দিয়ে তৈরি বায়ো রেমি ডিয়েশান ক্ষমতার জন্য বিষাক্ত জল সহজেই দূষিত হয়ে যায়, এই প্রক্রিয়ায় জল থেকে একটি খাঁড়ির সাহায্যে চ্যানেলের মধ্য দিয়ে পরিষ্কার করা হয়, ওই খাঁড়ি দিয়ে জল ততক্ষণে যাবে যতক্ষণ না অবধি দূষিত জল বিশুদ্ধ হচ্ছে।
2016 সালে অ্যামাইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় মালিকরা ভারতের বিভিন্ন অংশে ঘুরে বেরিয়েছিলেন, সেই সময় লক্ষ্য করেছিলেন এক ছোট গহনা শ্রমিক কী ভাবে আর্সেনিক সিসার মতো বিষাক্ত পদার্থগুলি পানীয় জলের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে, যা শুধুমাত্র জল নয় মাটি ও বায়ু কেউ প্রভাবিত করছে, আর সেখানকার স্থানীয় মানুষদের জীবনযাত্রা বিপন্ন করে তুলছে।
তাই এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাত্কারে মালিক জানিয়েছেন, ভারতের বিভিন্ন সংস্থা এবং এনজিও যারা দূষণ মোকাবিলার কাজে জড়িত তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিভিন্ন সাইট ভিজিট করে বর্জ্য জল গুলিকে পরিশুদ্ধ করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন তাঁরা।