বাংলা হান্ট ডেস্ক : সাত বছর আগে দিল্লির রাজপথে যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষীদের ইতিমধ্যেই ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। যদিও ফাঁসি কবে হবে সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্যই প্রকাশ্যে আসেনি কিন্তু ইতিমধ্যেই সে দিল্লির তিহার জেলের তরফে নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের অভিযুক্তদের ফাঁসির জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে সেই খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
কিন্তু এরই মধ্যে আবারও মাথা চাড়া দিয়ে দাঁড়ালেও ছ বছর আগে ঘটে যাওয়া কামদুনি গণধর্ষণ কাণ্ড। যেহেতু এখনও অবধি অভিযুক্তদের বিশেষ শাস্তি হয়নি তা ই এবার নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্তরা তা ই হাইকোর্টে এখনও অবধি মামলাটি বিচারাধীন। যদিও নিম্ন আদালতের তরফে তিন অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে কিন্তু এখনও অবধি উচ্চ আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকার জন্য অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি তাই এ বার নির্যাতিতার পরিবারের তরফে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হল।
শীঘ্রই মামলাটি নিষ্পত্তি ঘটিয়ে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা এমন কি গুরুত্ব সহকারে মামলাটি যেন দেখা হয় এমনটাও আর্জি জানিয়েছেন নির্যাতিতার ভাই এবং এক শিক্ষক। 2013 সালে বারাসতের কামদুনি গ্রামে এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে পরিত্যক্ত কারখানায় তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করার পর খুন করা হয়েছিল।
এই ঘটনায় টানা তিন বছর পর উচ্চ আদালতে আনসার আলি সইফুল আলি এবং আমিনুর আলিকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল আদালত যদিও এখনও অবধি তিন বছর পার হয়ে গেলেও উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কারণে সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি অন্যদিকে জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করেছে এবং তিনজনকে আমৃত্যু অবধি কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু ফাঁসির সাজা যাঁদেরই শোনানো হয়েছে তাঁদের কী হবে? কোহলিকে নির্যাতিত কোনও সুবিচার পাবেন না? এই দাবিতেই এবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার।