বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) এই মুহূর্তে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। কিন্তু নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে তার এই জেল জীবনে। একেবারে ভিভিআইপি তকমা হটিয়ে দিয়ে আর পাঁচটা সাধারন বন্দীর মতো জেলে দুর্দশাময় জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। এর পাশাপাশি আরও একটি সমস্যা তাকে গ্রাস করেছে। বিভিন্ন সময় তাকে শুনতে হচ্ছে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ। জেলের ভিতরে কিংবা বাইরে, অনেক সময় থাকে “চোর” বলেও কটাক্ষ করা হচ্ছে।
এমন অবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে তিনি শরণাপন্ন হয়েছিলেন জেল কর্তৃপক্ষের। জানা যাচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই “দুর্দশা” কাটানোর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাঁশদ্রোণীর যতীন ওরফে যতীন্দ্রনাথ সাউকে। এই কথা চাওর হতেই চারিদিকে শোরগোল পড়ে গেছে। অনেকেই এই যতীনের কথা শুনে রীতিমত আঁতকে উঠছেন। কিন্তু কে এই যতীন? প্রেসেন্সি জেল এখন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ব্যস্ত। খুনের মামলায় যতীন্দ্রনাথ সাউ মাস পাঁচেক আগেই যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।
কিছুদিন আগে যতীন্দ্রনাথের সাথে তার কয়েকজন পরিচিত দেখা করতে জেলে যায়। তখন সে তাদের জানায়, তাকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় খুব পছন্দ করেন। পার্থ বাবু তার খাবার থেকে মাছ-ডিম যতীনকে দেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভাগের খাবার খেয়ে খুবই খুশি যতীন। সূত্রের খবর, সে এখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেখাশোনার দায়িত্ব পেয়েছে। প্রেসিডেন্সি জেলে কিভাবে এলেন যতীন? ঘটনাটা ২০১২ সালের। রাগের মাথায় সে এক ব্যক্তিকে খুন করে বসে।
এরপর তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় কড়েয়া থানায়। অবশেষে তার ঠাঁই হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। অন্যদিকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রেসিডেন্সি জেলে থাকাকালীন নানারকম ব্যঙ্গ বিদ্রুপের সম্মুখীন হচ্ছেন। ‘ওই দেখ চাকরি চোর’, ‘মোটকা দা টুকি’ ইত্যাদি কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন তিনি। এমন অবস্থায় পার্থর সাথে সুসম্পর্ক থাকার জন্য যতীনকে দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।