বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্যের শিক্ষার পরিকাঠামো ব্যবস্থা উন্নতি করতে এবং শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক প্রকল্পের সূচনা করেছেন৷ স্কুলছুটের সংখ্যা কমাতে এবং উচ্চশিক্ষা খাতে যাতে রাজ্যের পড়ুয়ারা এগিয়ে যায় তার জন্য এক দিকে যেমন স্কলারশিপ চালু করা হয়েছে তেমনি কন্যাশ্রী যুবশ্রী সহ একাধিক প্রকল্প শুরু হয়েছে৷ কিন্তু এরই মধ্যে মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে রাজ্যের প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে এক লাফে৷
সম্প্রতি একটি তথ্য বলছে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক মিলিয়ে স্কুলছুটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে 10 লক্ষ্য৷ জানা গিয়েছে প্রতি বছরের শুরুতে কত জন ছাত্রছাত্রী মিড ডে মিলের আওতায় রয়েছে তা প্রতিটি রাজ্যকে তথ্য জানাতে হয় কেন্দ্রীয় সরকারের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে৷ সেই তথ্য অনুযায়ী 2017-18 শিক্ষাবর্ষ থেকে চলতি শিক্ষা বর্ষে প্রাথমিকেই পড়ুয়ার সংখ্যা কমেছে 3 লক্ষ্য বত্রিশ হাজার৷ অন্য দিকে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে পড়ুয়াদের সংখ্যা কমেছে 6 লক্ষ 83 হাজার 712 বারো জন৷
তবে মিড ডে মিল এবং অন্যান্য প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হওয়ার সত্ত্বেও কী ভাবে স্কুলছুটের সংখ্যা এতটা কমেছে? এই প্রশ্নের জবাবে শিক্ষক মহলের একাংশ জানাচ্ছে রাজ্যে পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব নাকি স্কুলছুটের সংখ্যা কমানোর জন্য একমাত্র দায়ী৷ অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন পড়ানো ছাড়া শিক্ষকদের অন্যান্য কাজে নিযুক্ত করা হচ্ছে যার জন্য শিক্ষকরা পড়াশোনার জন্য কম সময় দিতে পারছেন আর তাই নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম শেষ করাতেও দেরি হয়ে যাচ্ছে৷