বাংলাহান্ট ডেস্ক : হলদিয়া পুরসভায় টেন্ডার গরমিলের অভিযোগে গ্রেফতার করা হলো হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সত্যব্রত দাসকে। তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে সূত্রের খবর। সিটের পক্ষ থেকে বুধবার সকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভবানীপুর থানায় ডেকে পাঠানো হয়। এরপর তদন্তকারীরা তাকে সারাদিন জেরা করেন। অবশেষে, দীর্ঘ জিজ্ঞাসা আমাদের পর রাত এগারোটা নাগাদ সত্যব্রতকে গ্রেফতার করা হয়।
২০১৭ সালে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সত্যব্রত দাস হলদিয়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড সুতাহাটার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এরপর, ২০২১ সালে হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদকের যোগসাজসে যোগদান করেন বিজেপিতে। হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ ওঠে। হলদিয়ার আজাদ হিন্দনগরের এক নির্মাণ সংস্থার মালিক অরুণাংশু মুখোপাধ্যায় গত ২৯ শে সেপ্টেম্বর ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে।
অরুণাংশু মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, তার সংস্থার স্ট্যাম্প ও সই জাল করে শ্যামল আদক নিজের সংস্থার নামে ৮৬ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা মূল্যের ক্রেডেনসিয়াল তৈরি করেছেন। এই ঘটনার তদন্তে নামে ভবানীপুর থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত করতে করতে উঠে আসে বহু টেন্ডার দুর্নীতির ছবি। তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে টেন্ডারকে কেন্দ্র করে হয়েছে কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ২ অক্টোবর আদালত শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। তারপরেই নিরুদ্দেশ হয়ে যান শ্যামল।
এই টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারীরা থানায় তলব করেন প্রাক্তন পুরপ্রধানের সময়কালীন পুরসভার টেন্ডার কমিটির চেয়ারম্যান সত্যব্রত দাস, কাউন্সিলর নারায়ণচন্দ্র প্রামাণিক এবং অর্থদপ্তরের দায়িত্বে থাকা বিকাশ জানাকে। সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ সত্যব্রত দাস তদন্তে অসহযোগিতা করতে থাকেন। একাধিক প্রশ্ন এড়িয়ে যেতে থাকেন। এরপর তাকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেন তদন্তকারীরা।