বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বকাপে (2023 ODI World Cup) এই মুহূর্তে সবচেয়ে ফর্মে থাকা ব্যাটার কে? এই মুহূর্তে যে কোনও দেশের অতি বড় ক্রিকেট ভক্ত স্বীকার করতে বাধ্য হবেন যে সেই নামটা হলো কুইন্টন ডি কক (Quinton de Kock)। প্রথম ম্যাচে দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার বোলারদের সামনে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে লখনৌতে অস্ট্রেলিয়া দলের (Australia Cricket Team) তারকা বোলারদের বিরুদ্ধে জোড়া শতরান করলেন দক্ষিণ আফ্রিকা দলের (South Africa Cricket Team) উইকেটরক্ষক। নিজের অসাধারণ শতরানের জন্য ম্যাচের সেরা হয়েছেন তিনি
এই বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগেই কুইন্টন ডি কক জানিয়ে দিয়েছিলেন যে এটি তার শেষ বিশ্বকাপ। এরপর তিনি ওডিআই ফরম্যাট থেকে অবসর নেবেন। আগেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা। এখন দেখে মনে হচ্ছে ওডিআই ফরম্যাটের শেষটা স্মরণীয় করে রাখতে তিনি মরিয়া হয়ে রয়েছেন। পাকিস্তানের মহম্মদ রিজওয়ানকে (১৯৯*) টপকে আপাতত ডি কক (২০৯*) বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তার ফর্ম যদি এমন ভাবেই চলতে থাকে তাহলে বিরাট কোহলি বা রোহিত শর্মার কাছে হয়তো নিজেদের শেষ ওডিআই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার সম্মানটা জুটবে না।
লখনৌয়ে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠিয়ে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স নিজেরা ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ফিল্ডিংয়েই হলো চূড়ান্ত ভুল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দিনে ছয়টি ক্যাচ ফেললেন অজিরা। ফলে মিচেল স্টার্ক (২/৫৩) এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (২/৩৪) দুর্দান্ত বোলিং করলেও লাভ হলো না।
প্রথম ম্যাচে কুইন্টন ডি কক ৮৪ বলে ১০০ রান করে আউট হয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। এই ম্যাচে ১০০ বলে করলেন ১০৯ রান। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে দ্রুততম শতরান করার রেকর্ড গড়া এইডেন মার্করম লখনৌয়ের ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন পিচে কিছুটা বেকায়দায় পড়লেও ৪৪ বলে ৫৬ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস খেলে যান। বাকি দক্ষিণ আফ্রিকান বেটাররা সেট হলেও বড় স্কোর করতে পারেননি।তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করেই মূলত প্রথম ইনিংসে ৩১১ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক রেকর্ড গড়বেন রোহিত! শেষবার এমন কাজ করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী
জবাবে ব্যাট করতে নেবে শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন মার্নাশ লাবুশানে। তার এবং স্টার্কের (২৭) মধ্যে ৬৯ রানের একটি পার্টনারশিপ না হলে লজ্জা আরও বাড়তে পারতো অস্ট্রেলিয়ার। এরপর অধিনায়ক কামিন্স (২২) চেষ্টা করেও অস্ট্রেলিয়াকে এই ম্যাচেও ২০০ রানের গণ্ডি পার করাতে পারেননি। ১৭৫ রানে অলআউট হয়ে যায় অজিরা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবার নিজেদের প্রথম দুটি ম্যাচ হারের মুখ দেখতে হলো তাদের। কাগিসো রাবাডা (৩/৩৩) ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার। কিন্তু এদিন প্রত্যেক প্রোটিয়া বোলার উইকেট পেয়েছেন। রিপন বোলিং করে দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্বল স্পিন বিভাগকে আপাতত ভরসা দিচ্ছেন কেশব মহারাজ (২/৩০)। লুঙ্গি এনগিডি (১/১৮) ও তাব্রাজ সামসিও (২/৩৮) কৃপণ বোলিং করেন।