বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার চিন (China) ও পাকিস্তানের মধ্যে বিবাদের খবর সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী হামলায় চিনা নাগরিকদের মৃত্যুর জেরে এবার এই বিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানে চলমান চিনা প্রকল্পে চিনা নাগরিকরা কাজ করছেন। এই বিষয়ে পাকিস্তানকে তিরস্কার করেছে চিন। শুধু তাই নয়, বিনিয়োগ নিয়েও চিনের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, আগামী দিনগুলিতে এই দুই দেশের সম্পর্ক ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়ায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এই কারণে পাকিস্তানকে তিরস্কৃত করল চিন (China):
জানিয়ে রাখি যে, চিন (China) পাকিস্তানে তার একাধিক প্রকল্প সম্পন্ন করছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানে প্রতিদিনই সন্ত্রাসবাদী ঘটনা ঘটছে। যেখানে প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ। এখন চিনা নাগরিকরাও এই সন্ত্রাসের শিকার হতে শুরু করেছে। ওই নাগরিকরা চিনের প্রকল্প সম্পূর্ণ করতে পাকিস্তানে উপস্থিত হয়েছিলেন। এদিকে, গত ৬ মাসে দু’বার চিনা নাগরিকদের টার্গেট করেছে সন্ত্রাসবাদীরা। ওইসব হামলায় এখনও পর্যন্ত ৭ জন চিনা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
মিলেছে চিনের প্রতিক্রিয়া: ইকোনমিক টাইমস অনুসারে জানা গিয়েছে, এই বিষয়টি জনসাধারণের নজরে আসে যখন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার মন্তব্য করেন যে, পাকিস্তানই একমাত্র দেশ যেখানে নিরাপত্তা উদ্বেগ সত্ত্বেও চিন তার নাগরিকদের পাঠাতে থাকবে। এরপরই পাকিস্তানকে কটাক্ষ করেন চিনের (China) রাষ্ট্রদূত জিয়াং জেডং। শুধু তাই নয়, জিয়াং এই দাবিগুলি প্রত্যাখ্যান করে জোর দিয়ে বলেছেন যে চিনা নাগরিকদের নিরাপত্তা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের জন্য সর্বাগ্রে প্রাধান্য পাবে।
আরও পড়ুন: ফের সবাইকে চমকে দিল ISRO! লাদাখে হল অদ্ভুত কারনামা, জানলে হয়ে যাবেন “থ”
চিনের হুঁশিয়ারি: বর্তমানে চিন (China) পাকিস্তানে তাদের একাধিক প্রকল্পে কাজ করছে। এজন্য চিন পাকিস্তানে ব্যাপক বিনিয়োগও করেছে। জিয়াং পাকিস্তানকে সতর্ক করেছেন যে, চিনা অসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর অধীনে ভবিষ্যতের বিনিয়োগকে প্রভাবিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে বল বিকৃতির অভিযোগ! ফের বিতর্কের সম্মুখীন ঈশান কিষাণ
৬০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ: জানিয়ে রাখি যে, চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (CPEC) প্রকল্পে চিন (China) ৬০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করছে। একই সঙ্গে পাকিস্তানে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় সড়ক, বাঁধ, পাইপলাইন ও বন্দর নির্মাণ করছে চিন। এমতাবস্থায়, চিন-পাকিস্তানের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলে এই প্রকল্প সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। এছাড়াও, পাকিস্তানকে দেওয়া অর্থনৈতিক সাহায্যও বন্ধ করতে পারে চিন।