বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নেতৃত্বে মহাসমারোহে ব্যাঙ্গালোরে এয়ারশো শুরু হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল HTLFT- 42 বিমানটি। ওই বিমানের মডেলটি তৈরি করেছিল হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (Hindustan Aeronautics Limited, HAL)। এমন পরিস্থিতিতে, বিমানের ওই মডেলটিতে হনুমানজির একটি ছবি রাখা হয়।
কিন্তু, মাত্র একদিনের ব্যবধানেই ওই ছবি সরিয়ে দেয় HAL। ইতিমধ্যেই এই ঘটনাটি উঠে এসেছে খবরের শিরোনামেও। সকলেই প্রশ্ন তুলেছেন যে, কি এমন ঘটনা ঘটল যে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উধাও হয়ে গেল হনুমানজির ছবি? বর্তমান প্রতিবেদনে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল।
কেন প্রথমে হনুমানজির ছবি রাখা হয়: ইন্ডিয়া টুডে-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, HLFT-42 বিমানের মডেলটি হল HAL Marut-এর উত্তরসূরী৷ HAL Marut সংস্থার প্রথম এয়ারক্রাফ্টের মডেল। এদিকে, মারুত মানে হল বায়ু। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে হনুমানজিকে বায়ু অর্থাৎ পবনের পুত্র বলে মনে করা হয়। সেই কারণেই সংস্থার তরফে তার নতুন বিমানের মডেলে মারুত ভার্সানের আপডেটের ক্ষেত্রে হনুমানজির ছবি রাখা হয়েছিল।
ছবিটি সরানো হল কেন: এদিকে, মাত্র কয়েকঘন্টার মধ্যেই ওই ছবি সরিয়ে ফেলা হয়। পাশাপাশি, এই প্রসঙ্গে প্রশ্নেরও উদ্রেক ঘটেছে। মূলত, HAL-এর জেটে হনুমানজির ছবি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। এছাড়াও, ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে হিন্দু সম্প্রদায় হনুমানজিকে ভগবানও মনে করে। এই প্রসঙ্গে ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানে হনুমানজির ছবি থাকায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়। মূলত, এই ঘটনা বিরোধী দলগুলি একটি নির্দিষ্ট ধর্ম প্রচারের ক্ষেত্রে সরকারের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছে।
HLFT-42 বিমানের বিশেষত্ব: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এটি একটি নেক্সট জেনারেশনের সুপারসনিক ট্রেনার জেট। গত মঙ্গলবার এই মডেলটিকে ব্যাঙ্গালোরে প্রদর্শন করা হয়েছিল। এই বিমানের মডেলটি অত্যন্ত অত্যাধুনিক। কারণ এতে মডার্ন অ্যাভিওনিক্সের মতো আশ্চর্যজনক ফিচার রয়েছে। যেমন অ্যাক্টিভ ইলেট্রনিক্যালি স্ক্যানড অ্যারে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট এবং ওয়ার কন্ট্রোল সিস্টেমের পাশাপাশি ইনফ্রারেড সার্চ অ্যান্ড ট্র্যাকের মত গুরুত্বপূর্ণ ফিচার্স। এটি তৈরি করেছে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড। এমতাবস্থায়, এই বিমান প্রতিরক্ষার দিক থেকেও প্রভূত সাহায্য করবে।