বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে টলি জগতের একঝাঁক তারকারা নাম লিখিয়েছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরে। রাজনৈতিক ভাগ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে তাঁদের সিংহভাগই পরাজিত হয়ে, আবারও ফিরে গিয়েছেন নিজের পুরনো ঠিকানায়। তবে এরই মধ্যে একজন তারকা নির্বাচনে হেরে গেলেও, তাঁকে দলে বিশেষ জায়গা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (mamata banerjee)। দলনেত্রীর দেওয়া বড় পদ পেয়েই অভিভূত রাজনীতিতে নবাগতা সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। কাজও শুরু করতে চান খুব শীঘ্রই।
আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে বিজেপির তারকা প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের কাছে পরাজিত হওয়ার পরও, সায়নীকে কোন সরকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত করার জন্য পথে নেমেছিলেন তৃণমূলের নবীন প্রজন্মের বহু মুখ। তারউপর নির্বাচনী প্রচারে সায়নীর মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার প্রবণতা, সবকিছু মিলিয়ে সায়নীর প্রতি মুগ্ধ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই আঙ্গিকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তে যুব সংগঠনের সভাপতি পদে বহাল করা হল সায়নী ঘোষকে।
তৃণমূল শিবিরের আশা, সায়নীর মত তরুণ প্রজন্মকে দেখে বাংলার অনেক যুবক যুবতীরা রাজনীতিতে আসার প্রেরণা পাবে। যার ফলে সায়নীকে দেখিয়ে দলের প্রতি প্রচুর পরিমাণে যুব সম্প্রদায়দেরও আকৃষ্ট করতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারের প্রচারের প্রতিটি বার্তায় তরুণ প্রজন্মের উল্লেখ, তাঁদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়ার পর দলের এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে একজন মহিলাকে এনেও বিশেষ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
সূত্রের খবর, এতোদিন ধরে এই পদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থাকায়, তাঁর রাজনৈতিক ‘উচ্চতা’ ও ‘সিনিয়রিটি’ দেখে অনেক সময় দলের নীচু স্তরের অনেক যুব নেতা-কর্মীরা তাঁর কাছে গিয়ে সমস্যার কথা জানাতে সংকোচ বোধ করতেন। তবে এবার সেই পদে সায়নীকে নিয়ে আসায় কিছুটা লাভ হবে বলেই ধারণা তৃণমূলের। কারণ প্রচারে যেভাবে মানুষের সঙ্গে সহজেই মিশে গিয়েছিল সায়নী, তাতে করে রাজনীতিতে নতুন হলেও, সায়নীর মত দাপুটে নেতৃত্বকেই দিয়েই এই পদের কাজ সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বলে ধারণা তৃণমূলের।