জামাইবাবুর কাছে প্রধানমন্ত্রীর নাম জানতে চান শ্যালিকা! বলতে না পারায় বরের ভাইকেই বিয়ে করলেন কনে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অবাক করা ঘটনার প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজীপুরের সৈয়দপুর থানা এলাকায় এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। যেখানে বিয়ের পর সকালে খিচুড়ির অনুষ্ঠানে বরকে নানা প্রশ্ন করেন শ্যালিকারা।

সেখানেই বরের কাছ থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম জানতে চাওয়া হয়েছিল। এদিকে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর নাম বলতে না পারায় তাঁকে মানসিকভাবে দুর্বল বলে অভিহিত করেন কনের আত্মীয়রা। শুধু তাই নয়, এরপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত বরের ছোট ভাইয়ের সাথে কনের জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় বলেও জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এহেন ঘটনায় ওই এলাকায় ছড়িয়েছে তুমুল চাঞ্চল্য।

প্রধানমন্ত্রীর নাম বলতে পারেননি বর: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সৈয়দপুর থানা এলাকার অন্তর্গত নাসিরপুর গ্রামের বাসিন্দা রাম অবতার রামের পুত্র শিব শঙ্করের বিয়ে ঠিক হয়েছিল জুন করন্দা থানার অন্তর্গত বসন্ত পট্টি গ্রামের বাসিন্দা লাখেদু রামের মেয়ে রঞ্জনার সাথে। তাঁদের বিয়ের দিন নির্ধারণ হয়েছিল গত ১১ জুন।

শুধু তাই নয়, ৬ মাস আগে থেকেই তাঁদের বিবাহের পাকা কথা সম্পন্ন হয়ে যায়। এমতাবস্থায়, ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁদের। এদিকে, গত ১১ জুন শিব শঙ্কর বর যাত্রীদের নিয়ে বিয়ের জন্য কনের বাড়িতে পৌঁছান। রাতেই বিবাহ সম্পন্ন হয়।

শ্যালিকারা করেন প্রশ্ন: এমতাবস্থায়, বিয়ের পর সবাই ঠাট্টা-তামাশায় মশগুল ছিলেন। তখনই এক শ্যালিকা শিব শঙ্করকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম জিজ্ঞেস করেন। যা তিনি বলতে পারেন নি। আর তারপর থেকেই পাল্টে যায় পরিস্থিতি। এমনকি, শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা শিব শঙ্করকে মানসিকভাবে সুস্থ নন বলেও দাবি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ছেলের বাবা রাম অবতারের অভিযোগ, “এরপরেই মেয়ের পক্ষের লোকজন আমার ছোট ছেলে অনন্তের সঙ্গে জোর করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কনের বিয়ে দিয়ে দেয়। আমার ছোট ছেলে অনন্তের বয়স এখনও কম।”

marriage

বরের ছোট ভাইয়ের সাথে বিয়ে: পাশাপাশি, তিনি আরও জানান, “আমরা ভয়ে বিয়ে মেনে নিয়ে ছেলে বৌমাকে নিয়ে বাড়ি চলে আসি। গত শনিবার হঠাৎ করে কনেপক্ষের লোকজন আমার বাড়িতে এসে সমস্যা তৈরি করেন এবং আমার পুত্রবধূকে জোর করে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। এরপর আমি পুলিশের হেল্পলাইন ১১২ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানাই।” এদিকে, পরে উভয় পক্ষকে সৈয়দপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানেই বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে বলে জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর