বাংলা হান্ট ডেস্ক : সংসদে তিন তালাক বিরোধী আইন ইতিমধ্যে পাশ হয়েছে যদিও ব্যাপক বিরোধিতা ছিল কিন্তু তা সত্ত্বেও তিন বার তালাক বললেই আর মুসলিম স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ নয় এই নিয়ম লাগু হয়েছে ,যদিও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই এখনও অবধি দেশের বিভিন্ন জায়গায় তিন তালাক প্রথা চালু রয়েছে৷ তিন তালাক আইনত অপরাধ এই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মুসলিম সমাজে কিছু অংশে এখনও অবধি তিন তালাক অভ্যাস যায়নি৷ আবারও তেমন ঘটনা ঘটল হায়দরাবাদে, স্ত্রীর দাঁতের গরম ঠিকঠাক নয় আর তাই তাঁর সঙ্গেই থাকতে পারছেন না স্বামী এই অজুহাতে স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন৷ এই অদ্ভুত অজুহাতে তিন তালাক দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই নিন্দার ঝড় উঠেছে৷
জানা গিয়েছে হায়দরাবাদের রুকসানা বেগম বিয়ের পর থেকেই তাঁর স্বামী মোস্তফা ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দ্বারা অত্যাচারিত হচ্ছিলেন৷ কখনও পণ নিয়ে অত্যাচার আবার কখনও দাঁতের গরম ঠিকঠাক নয় এই অজুহাতে বার বার তাঁকে হেনস্থাও করা হত৷ তাই বিয়ের ছয় মাস কাটতে না কাটতেই তাঁকে তিন তালাক দেয় মুস্তফা৷ যদিও রুকসানা ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানায় তিন তালাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ মোস্তফার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 498 ধারা অনুযায়ী যৌতুক আইন ও তিন তালাক আইনের আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷
সংবাদমাধ্যমের সামনে রোকসানা বেগম জানিয়েছেন, তাঁদের বিয়ের সময় মোস্তফা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা অনেক দাবি করেছিলেন যদিও সেই দাবি পূরণ করেছিলেন তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন৷ কিন্তু বিয়ের পর আবারও তাঁকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে মোস্তফার পরিবারের সদস্যরা৷
এই নিয়ে তাঁকে রীতিমতো নির্যাতন করা হতো এর পর তাঁর দাঁতের গঠন নিয়ে হেনস্থাও করা হত, এমনকি টানা পনেরো দিন তাঁকে ঘর বন্দি করে রাখা হয়েছিল৷ এর পর বাপের বাড়ি গেলে তাঁকে তাঁর স্বামী তিন তালাক দিয়ে আসে৷ বার বার সে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়৷