বাংলা হান্ট ডেস্ক: পড়শি দেশ চিনের (China) অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ আরও গভীর হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জুন ত্রৈমাসিকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা রেকর্ড পরিমাণ অর্থ চিন থেকে তুলে নিয়েছে। জানিয়ে রাখি যে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি রয়েছে চিনে। জুন ত্রৈমাসিকে চিনের ব্যালেন্স অফ পেমেন্টে সরাসরি বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার কমেছে।
চিনে (China) কমছে বিদেশি বিনিয়োগ:
বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে ফরেন এক্সচেঞ্জের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার চিনে (China) প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। ষাণ্মাসিক ভিত্তিতে, এই হার প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার কমেছে। যদি এই পতন সারা বছর ধরে চলতে থাকে, তাহলে ১৯৯০ সালের পর প্রথমবারের মতো বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বার্ষিক ভিত্তিতে নিট প্রত্যাহার দেখতে পাবে।
জানিয়ে রাখি যে, এর আগে ২০১১ সালে, চিনে (China) ৩৪৪ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড বিনিয়োগ এসেছিল। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্তর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যদিও, তারপর থেকে এটি ক্রমশ কমেছে। মূলত, অর্থনীতির মন্দা এবং ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে কিছু কোম্পানি তাদের বিনিয়োগ কমিয়েছে। এদিকে, চিনে বৈদ্যুতিক গাড়ির দ্রুত গ্রহণ বৈদেশিক গাড়ি কোম্পানিগুলিকেও অবাক করেছে। যার ফলে অনেক কোম্পানি তাদের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করেছে বা বিনিয়োগ কমাতে বাধ্য হয়েছে।
আরও পড়ুন: iPhone ব্যবহারকারীদের পকেট হবে ফাঁকা! প্রতি মাসে Apple নেবে মোটা টাকা, নইলে মিলবেনা এই সুবিধা
তবে, এই পতন সত্বেও, চিন (China) বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং ধরে রাখার প্রচেষ্টা বাড়িয়ে চলেছে। শি জিনপিংয়ের সরকার দেখাতে চায় যে চিন এখনও বৈদেশিক ব্যবসার জন্য একটি উন্মুক্ত এবং আকর্ষণীয় জায়গা। এমতাবস্থায়, কোম্পানিগুলি তাদের সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসবে বলেও আশা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে, জিনপিং সরকার আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশের চিনকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টারও বিরোধিতা করবে।
আরও পড়ুন: ভারতের এই পড়শি দেশে শুরু হাহাকার! ৭৪ শতাংশ জনসংখ্যা পাচ্ছে না দু’বেলার খাবার, ভয়াবহ পরিস্থিতি
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বহুজাতিক কোম্পানিগুলির কাছে চিনের (China) চেয়ে অন্যত্র ক্যাশ রাখার আরেকটি কারণ রয়েছে। উন্নত দেশগুলির কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি কিছুদিন ধরে সুদের হার বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে চিন তার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে তা কমিয়ে দিচ্ছে। চিনের বাণিজ্য মন্ত্রকের পূর্ববর্তী তথ্যে দেখা গেছে যে ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে চিনে নতুন প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ২০২০ সালে করোনার মতো ভয়াবহ মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বনিম্ন স্তরে ছিল।