বাংলাহান্ট ডেস্ক : দার্জিলিং শহরের খুব কাছেই মিরিক। যারা দার্জিলিং ঘুরতে যান তাদের কাছে মিরিক অবশ্যই দ্রষ্টব্য একটি স্থান। এই মিরিকের কাছেই রয়েছে নলদারা (Naldara)। এই জায়গাটির নাম অনেকেই শোনেননি। কিন্তু পর্যটকদের কাছে অপূর্ব এই পাহাড়ি গ্রামটি (Hill Station) ধীরে ধীরে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই গ্রামটি খুব নিরিবিলি।
শহরের কোলাহল থেকে যারা দূরে একান্তে সময় কাটাতে চান তারা অবশ্যই এই গ্রামে আসুন। অনেকের কাছেই দার্জিলিং-মিরিক এই জায়গাগুলি একঘেয়ে হয়ে উঠেছে। স্বাদ বদলের জন্য তাই দার্জিলিং গেলে আপনারা অবশ্যই ঢুঁ মারুন নলদারাতে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে এই গ্রামে যাওয়ার রাস্তার সাইট সিন মন ভোলানো। পাহাড়ি ধাপে গাড়িগুলি যখন উঠতে থাকে তখন দেখা যায় চারদিকের অপূর্ব মন ভোলানো দৃশ্য।
নলদারা গ্রাম মুক্তি বস্তি থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে। এই গ্রামের সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে চা বাগান। মাঝে মাঝে রয়েছে ছোট ছোট কিছু বাড়ি। সেগুলির চারদিক সুন্দর বাগান দিয়ে সাজানো। চা বাগান ছাড়াও একটি সুন্দর ভিউ পয়েন্ট হয়েছে এই গ্রামে। এই ভিউ পয়েন্ট থেকে আপনারা তিস্তার পারে অপূর্ব সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে পারবেন। এছাড়াও এই ভিউ পয়েন্ট থেকে দেখা যায় নেপাল সীমান্ত।
এই গ্রামের রাতের সৌন্দর্য মনে রাখার মতো। পাহাড়ের গায়ে বাড়ির আলো দেখে মনে হবে পাহাড়ের গা বেয়ে যেন বয়ে চলেছে লক্ষ লক্ষ জোনাকির পাল। এছাড়াও অর্গানিক খাবার পাওয়া যায় এই জায়গায়। একদম গ্রামের সাধারণ জীবনযাত্রার সাথে মানানসই এখানকার হোমস্টেগুলি। এই গ্রামের বাসিন্দারা খুব সহজেই অতিথিদের আপন করে নেন।
এই গ্রামের বিভিন্ন চা বাগানে হাঁটতে হাঁটতেই আপনার গোটা একটা দিন কেটে যাবে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে খুব সহজেই আপনারা পৌঁছাতে পারেন নলদারা। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে আপনারা সোজা চলে যান এই গ্রামে। এই গ্রামে রাত্রিযাপনের জন্য রয়েছে বেশ কিছু হোমস্টে। খুব কম খরচে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যাবে এই হোমস্টেগুলিতে।