বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেউ পছন্দ করেন দার্জিলিংয়ের পাহাড়, কেউ আবার দিঘার সমুদ্র। তবে, ভ্রমণপিপাসুরা কম বেশী সকলেই ভালবাসেন প্রকৃতির সঙ্গে থাকতে। বাংলার বুকে এমন হাজারো জায়গা রয়েছে যেখানে বছরভর মানুষ ভিড় জমান। আবার, কলকাতার আশেপাশেই নির্জনতায় মোড়া এমন অনেক দুর্দান্ত দর্শনীয় স্থান আছে যেখানে একবার গেলে বারবার করেই ফিরে যেতে মন চায়।
গ্রামবাংলার তেমনই একটি খুবই আকর্ষণীয় উইকেন্ড ডেস্টিনেশনের সন্ধান দেব আজ।
পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম জিতুজুড়ি। কংসাবতীর তীরে অবস্থিত। নদী এখানে আশ্চর্য রকমের শান্ত। ধীরস্থির ভাবে বয়ে চলেছে। তবে ভরা বর্ষায় অন্য চেহারা। নদীতীরে ঘন সবুজ জঙ্গল। আর সেইসঙ্গে রয়েছে ছোট ছোট পাহাড়-টিলা। আলোয় একরকম, অন্ধকারে গা ছমছম।
বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে যারা দু-তিন দিনের ছুটি কাটাতে চান তাদের জন্যেও আদর্শ হবে পুরুলিয়ার (Purulia) জিতুজুরি (Jitujuri)। টিলার গা ঘেঁষেই অবস্থিত হাতিপাথর ব্যাক প্যাকার্স ক্যাম্প (Hatipathar backpackers’ camp)। সকাল বেলায় পাখিদের কলতানে মুখরিত হয়ে থাকে এলাকা। শুধু তাই নয়, রাত বাড়লেই শোনা যায় পশুদের পদধ্বনি আর ডাক। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় অনেকেই অবশ্য জঙ্গলের পাশে থাকা টেন্টেই রাত্রিযাপন করেন।
নব দম্পতি থেকে শুরু করে বন্ধুদের সাথে ঘোরার জন্য জিতুজুরির জুড়ি মেলা ভার কারণ এখানে খরচটাও ভীষণ কম। মাথাপিছু টেন্টের জন্য খরচ ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। খাওয়া দাওয়া এবং ক্যাম্প ফায়ার সহ কটেজে থাকতে হলে আপনাকে পকেট থেকে বের করতে হবে ১৫০০ টাকার কাছাকাছি। খাবারের মধ্যে আপনি পেয়ে যাবেন, ওয়েলকাম ড্রিঙ্কস, লাঞ্চ, ইভিনিং স্নাক্স, ডিনার, আর পরের দিন ব্রেকফাস্ট।
এখন প্রশ্ন হল, কিভাবে যাবেন পুরুলিয়ার এই গ্রামে ? হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে বাঁকুড়া পৌঁছনোর পর বাস ধরে মানবাজার চলে যান। মানবাজার থেকে হাতিপাথর ৯.৬ কিমি। আর তাছাড়া আপনি চাইলে, হাওড়া থেকে পুরুলিয়ার ট্রেন ধরতে পারেন। সেখান থেকে মানবাজার পৌঁছতে হলে আপনাকে ৫৩ কিমি যেতে হবে। সেখান থেকে ক্যাম্পের দূরত্ব ৯.৬ কিমি।