বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (ISIS) এর প্রধান আবু বকর আল বাগদাদি এর মৃত্যুতে পাকিস্তানের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রেহমান মালিক প্রশ্ন তুলেছেন। রেহমান মালিক বলেন, বাগদাদির মৃত্যু নিয়ে ISIS কোন সংবাদ দেয়নি। আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২৭ অক্টোবর আমেরিকার সেনা উত্তর পশ্চিম সিরিয়ায় তল্লাশি অভিযানে বাগদাদিকে খতম করেছে। বাগদাদি সুরঙ্গে লুকিয়ে ছিল। আমেরিকার সেনা তাঁকে তাড়া করে সুরঙ্গে প্রবেশ করে, আর বাগদাদি সুইসাইড বম্ব এর জ্যাকেট দিয়ে নিজেকে খতম করে দেয়। এই খবরের সত্যতার জন্য বাগদাদির দেহর ডিএনএ টেস্ট করা হয়। এরপর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বাগদাদির মৃত্যুর খবর ঘোষণা করেন।
Baghdadi died like a dog, died like a coward: Trump
Read @ANI Story | https://t.co/gXEtOwd937 pic.twitter.com/if0TZM0rLd
— ANI Digital (@ani_digital) October 27, 2019
কিন্তু আমেরিকার রাষ্ট্রপতির এই বয়ানে পাকিস্তানের প্রাক্তন স্বরাস্ট্র মন্ত্রী ভরসা করেনি। নিজের ট্যুইটে রেহমান মালিক লেখেন, ‘আমেরিকার রাষ্ট্রপতি দ্বারা বাগদাদির মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে। আমি আইএসআইএস এর থেকে এখনো পর্যন্ত এমন কোন খবর পাইনি। যদিও, আমি বাগদাদির মৃত্যুতে খুশি হব। সিরিয়ায় জারি গৃহ যুদ্ধে আর রাজনীতির জন্য এরকম ভুয়ো খবর ছড়ানো স্বাভাবিক ব্যাপার। এবার দেখা যাক, বাগদাদি আসলেই মরেছে কি না?”
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি বাগদাদির মৃত্যু নিয়ে বিস্তারিত জানাতে গিয়ে বলেন, ‘বাগদাদি শনিবার রাতের অন্ধকারে একটি অপারেশনে মারা গেছে, এই অপারেশন আমেরিকার স্পেশ্যাল ফোর্স করেছিল। ট্রাম্প বলেন, উত্তর পশ্চিম সিরিয়ার ইডলিবে হওয়া এই অভিযানে বাগদাদিকে যখন আমেরিকার সেনা চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলেছিল, তখন সে প্রাণ বাঁচাতে একটি সুরঙ্গে ঢুকে যায়। আর সেই সময় আমেরিকার সেনা তাঁর পিছনে শিকারি কুকুর ছেড়ে দেয়। বাগদাদির পিছনে শিকারি কুকুর গুলো ছিল।”
Last night, the United States brought the world's number one terrorist leader to justice. President @realDonaldTrump addresses the death of Abu Bakr al-Baghdadi, the founder and leader of ISIS. Full remarks: https://t.co/3ucibNVOU8 | More: https://t.co/b4fBx9qyY6 pic.twitter.com/odrheyNRtc
— Department of State (@StateDept) October 27, 2019
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি অনুযায়ী, শিকারি কুকুর যখন বাগদাদির পিছনে পড়েছিল, বাগদাদি তখন কাঁদছিল, চিল্লাছিল, ক্ষমা চাইছিল এমনকি চরম আতঙ্কে ছিল। শেষে সে দৌড়াতে দৌড়াতে একটি গুহাতে ঢুকে যায়, আর গুহার রাস্তা শেষ হয়ে যায়। বাগদাদি তখন নিজের তিন সন্তানকে নিজের সাথে রেখেছিল। যখন বাগদাদি নিজের মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে দেখে … তখন সে শিকারি কুকুরের হাতে মরার চেয়ে নিজেকে বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া শ্রেয় মনে করে।