বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর এক ধাক্কা। স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা খেলেন রাজ্যের একদা মন্ত্রীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) চাকরি বাতিল নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অঙ্কিতা। তবে খালি হাতেই ফিরতে হল তাকে। তার নিয়োগকে সন্দেহজনক বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
অভিজিতের জোড়া রায় চ্যালেঞ্জ করে হয়েছিল মামলা-Abhijit Gangopadhyay
এদিন সুপ্রিম কোর্টে মামলা উঠলে তার নিয়োগকে সন্দেহজনক হলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির জেরে হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে প্রায় আড়াই বছর আগে চাকরি যায় অঙ্কিতার। ২০২৫ সালে এসে হাইকোর্টের জোড়া নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মন্ত্রী-কন্যা। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ২৬ হাজার চাকরি বাতিল রায়কেও চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে স্কুল সার্ভিস সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বেআইনিভাবে শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার ঘটনায় নাম জড়ায় পরেশ কন্যা অঙ্কিতার। পরবর্তীকালে কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলাটির শুনানি চলাকালে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)।
শুধু তাই নয়, দুই কিস্তিতে তার সমস্ত বেতনও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর কন্যার চাকরি এবং বেতনের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা চলে যায় ববিতার কাছে। পরে তারও নম্বর মূল্যায়নে ভুল থাকায় শেষমেশ ওই চাকরি পান আরেক চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়। সেই চাকরি নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি।
আরও পড়ুন: ফিট থাকা সত্বেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে গেলেন জসপ্রীত বুমরাহ? সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
সেই মামলাতেই প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ২০২২ সালের ১৭ এবং ২০ মে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অঙ্কিতা। কিন্তু তার আর্জি সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছর ২২ এপ্রিল এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এক ধাক্কায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করে দেয় হাই কোর্ট। পরে চাকরি পাওয়া অনামিকারও চাকরি বাতিল হয়ে যায়। ওই মামলাতেই ববিতাকেও যুক্ত করেছিলেন অঙ্কিতা অধিকারী।