বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশ না বাংলা, ধরার উপায় নেই! শহর জুড়ে চলছে বুলডোজার। হকারমুক্তিকরণ অভিযানে নেমেছে পুলিশ। ফুটপাতের একাংশকে হকারমুক্ত করতে ফিল্ডে কড়া অ্যাকশন নিয়েছে প্রশাসন। সাধারণ মানুষকে হাঁটার সুবিধা করে দিতে বেআইনি দখলদারদের ফুটপাত থেকে সরানো হচ্ছে। তবে তার জেরে চোখের জলে ভাসছেন হকাররা। দোকান তুলে দিলে খাবো কী! এই প্রশ্নই তুলেছেন তারা। এরইমধ্যে এই ইস্যু ধরে সামনে উঠে এল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) নাম।
নিয়োগ দুর্নীতির দায়ে বর্তমানে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বেহালা পশ্চিমে ফুটপাতের উপরে ছিল তার পার্টি অফিস। এবার বুলডোজার (Bulldozer) অভিযানের মাধ্যমেই এবার ধূলিসাৎ করা হল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বেহালার সেই অফিস (Partha Chatterjee Office)।
অফিস ভাঙার খবর পেয়ে সকাল থেকেই ওই জায়গায় ভীড় জমাতে থাকেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। তাদের কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ এসেছে। তারপরই তড়িঘড়ি পার্টি অফিস সরিয়ে ফেলা হয় ফুটপাতের উপর থেকে। প্রসঙ্গত ২০০১ সালে বেহালা পশ্চিম থেকে বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই বেহালার ম্যান্টনে নিজের দফতর খোলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
২০১৬ য় সেই অফিসের সাথেই বাইরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বসার জন্য আরও একটি জায়গা তৈরী হয়। বেহালায় রাস্তার একাংশ দখল করেই এতদিন ম্যান্টনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অফিস চলছিল। এবার এই নিয়েই সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। জেলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত বেহালায় ‘বেআইনি ভাবে’ তৈরী নিজের জনসংযোগ কার্যালয় থেকেই নিজের বিধানসভা এলাকার কাজকর্ম দেখতেন পার্থ। এবার সেই কার্যালয় ভাঙা পড়ল।
আরও পড়ুন: বাড়ছে চাপ? DA-বেতন ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হাজির রাজ্য সরকারি কর্মীরা, তোলপাড়
এই বিষয়ে এলাকারই এক তৃণমূল কর্মী বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পার্টি অফিস বলা হলেও আসলে এটা তৃণমূলের পার্টি অফিস ছিল। এখন মুখ্যমন্ত্রী ফুটপাথ দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মতোই আমরা আজ এই রাস্তা মুক্ত করে দিলাম। তবে প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ রাস্তার উপরে অন্য পার্টিগুলির যে অফিস রয়েছে সেগুলো নিয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”