বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তিনি, মেদিনীপুরের সাবেক সাংসদ। বর্তমানে বঙ্গ বিজেপির কোনও পদে না থাকলেও, দাপুটে নেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মঙ্গলবার তিনিই রাজ্য বিধানসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন। দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার বার্তা দেন। এরপর একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বেশ কিছু বিষয়ে কথা বলেন।
‘দৌড়ে নেই, লড়াইয়ে আছি’! বললেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)
বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (State President) পদে রদবদলের জল্পনা শোনা যাচ্ছে। সুকান্ত মজুমদারের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে উঠে এসেছে দিলীপেরও নাম। মঙ্গলবার তিনি রাজ্য বিধানসভায় উপস্থিত হওয়ার পর তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরেই আরও তীব্র হয় এই জল্পনা। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ নিজে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, আমি কোনও পদে নেই, দলের সাধারণ কর্মী। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আমি কোনও দৌড়ে নেই, লড়াইয়ে আছি। এখানে পরিবর্তন করতে হবে। সেই লড়াইয়ে রয়েছি।
আরও পড়ুনঃ রাজ্য সরকারি কর্মীদের পোয়া বারো! এবার বোনাস বাড়াল সরকার! কার অ্যাকাউন্টে কত ঢুকবে?
বিজেপির পরবর্তী রাজ্য সভাপতি হিসেবে কে একেবারে যোগ্য? সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে দিলীপকে এই প্রশ্ন করা হয়। জবাবে বলেন, দলের যে কোনও একজন কর্মীকে দাঁড় করিয়ে দিলেই তিনি ফিটেস্ট। সম্পূর্ণ দল লড়াই করে বলে জানান তিনি। তবে তার মানে ব্যক্তির গুরুত্ব নেই এমনটা কিন্তু নয়।
গেরুয়া শিবিরের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, ব্যক্তির গুরুত্ব থাকেই। নরেন্দ্র মোদীর গুরুত্ব রয়েছে। এটা বিরোধীরাও মানেন। তবে বিজেপি কোনও ব্যক্তির ওপর ভর করে আসেনি। এর আগেও হয়েছে। ভবিষ্যতেও হবে। আমরা নেতৃত্ব তৈরি করি। তারা দলকে জেতায়।
সম্প্রতি বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দিল্লির বাসভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বঙ্গ বিজেপির সকল সাংসদ। তবে সেখানে দেখা যায়নি দিলীপকে। যদিও তিনি এখন আর সাংসদ নেই।
এই বিষয়ে দিলীপ (Dilip Ghosh) স্পষ্ট বলেন, আমি কোনও পদাধিকারী নই, সাধারণ সদস্য। দল যেখানে ডাকে, যেখানে যেতে বলে, আমি সেখানে যাই। এর বাইরে আমি যাই না। মুখ দেখিয়ে বেড়াই না, কারোর বাড়ির সামনে ধর্নাও দিই না। হাতজোড় করে দাঁড়াই না। আমি পেটের জন্য রাজনীতি করি না।