বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বড়সড় ধাক্কা দিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসেই পদ্ম শিবির ছাড়লেন ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Odisha Ex-CM) গিরিধর গামাং (Giridhar Gamang)। দলত্যাগে তাঁর সঙ্গী হলেন ছেলে শিশির গামাং (Shishir Gamang)। গিরিধর গোমাং কোরাপুট কেন্দ্ৰ থেকে ন’বারের লোকসভা সাংসদ। সূত্রের খবর, তাঁরা তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভারত রাষ্ট্র সমিতিতে যোগ দিতে পারেন। তবে যোগদানের খবর এখনও স্পষ্ট নয়।
জানা যাচ্ছে, গেরুয়া শিবিরে যথার্থ সন্মান না পেয়েই অভিমানে দল ছেড়েছেন তিঁনি। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিঁনি বলেন, “আমি অপমান সহ্য করতে পারি, হেনস্থা নয়। তাছাড়া দলে আমায় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।” প্রসঙ্গত, ওড়িশার প্রবীণ রাজনীতিবিদদের মধ্যে এক অন্যতম নাম গিরিধর গামাং। এক সময় জাতীয় কংগ্রেসের প্রভাবশালী মুখ ছিলেন তিঁনি। কোরাপুট লোকসভা কেন্দ্র থেকে রেকর্ড ৯ বার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদেও আসীন ছিলেন এই প্রবীণ নেতা।
২০১৫ সালে কংগ্রেস বিজেপিতে যোগদান করেন তিঁনি। তবে প্রায় ৭ বছর পরে সেই বিজেপির প্রতি ক্ষোভে হয়ে দল ছাড়লেন গামাং। পাশাপাশি তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ এই সাতবছর তাঁকে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। নিজের মত করে কোনো কাজ করতে পারেননি তিঁনি। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে (BJP national president JP Nadda) চিঠি দিয়ে তাঁর ইস্তফার কথা জানান গোমাং। জানা গিয়েছে ছেলে শিশিরও দলের ইতিমধ্যেই দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি বিআরএস নেতা তথা তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে দেখাও করেন গামাং। এরপর থেকেই শুরু হয় জল্পনা। তবে সমস্ত কল্পনা জল্পনার অবসান করে এদিন বিজেপি ছাড়লেন গামাং ও তাঁর ছেলে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে গামাং এবং তাঁর ছেলে যোগ দিতে পারেন তেলেঙ্গানার শাসক দল ভারত রাষ্ট্র সমিতিতে।
অন্যদিকে এ বিষয়ে, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সমীর মোহান্তি বলেন, ” গোমাং একজন সম্মানীয় রাজনৈতিক নেতা। তাঁকে দলে কখনও হেনস্থা, অপমান করা হয়নি। তিঁনি একদিকে রাজ্যের কার্যকরী কমিটির সদস্য ছিলেন। অন্যদিকে, দলের উচ্চস্তরীয় কোর কমিটিতেও তাঁকে রাখা হয়েছিল। পদমপুর উপনির্বাচনের সময় তিনি যথেষ্ট প্রচার করেছেন। যাই হোক, তিঁনি কোন দলে থাকবেন, না থাকবেন, সেই সিদ্ধান্ত তাঁর নিজের। তবে তাঁর ইস্তফা দলকে কোনও ভাবে প্রভাবিত করবে না। “