বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘ভূস্বর্গে’ জঙ্গি হামলা। নিরীহ পর্যটকরাও রেহাই পাননি। পশ্চিমবঙ্গ সহ এদেশের নানান রাজ্যের বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। পহেলগাঁওয়ের এই ঘটনায় (Pahalgam Terror Attack) বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। দেশের নানান প্রান্ত থেকে উঠছে ‘প্রতিশোধে’র দাবি। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন পাকিস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রী চৌধুরী ফাওয়াদ হুসেন (Chaudhry Fawad Hussain)। ভারত যদি আক্রমণ করে, তাহলে পাকিস্তানও যে ছেড়ে কথা বলবে না, তা কার্যত পরিষ্কার করে দেন তিনি।
পহেলগাঁও-কাণ্ডের (Pahalgam Terror Attack) পর বড় হুঙ্কার পাকিস্তানি মন্ত্রীর!
কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার খবর পেয়ে বুধবারই দেশে ফিরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। অপরাধীদের রেহাই নেই, স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। আততায়ীদের জোরালো ও স্পষ্ট জবাব দেওয়ার কথা বলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন ক্ষমতাচ্যুত পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের সিনিয়র নেতা হুসেন।
পহেলগাঁও-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই পাক (Pakistan) যোগের কথা সামনে এসেছে। সেকথা উল্লেখ করে প্রাক্তন পাক মন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তান রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত, তবে জাতি হিসেবে আমরা ঐক্যবদ্ধ। ভারত যদি আমাদের পর আক্রমণ করে অথবা হুমকি দেয়, তাহলে সকল গোষ্ঠী- পিএমএল-এন, পিটিআই, পিপিপি, জেইউআই ও অন্যান্যরা- আমাদের মাতৃভূমি রক্ষার জন্য পাকিস্তানের পতাকার নীচে একত্রিত হতে হবে’।
এখানেই না থেমে হুসেন আরও লেখেন, ‘ভারতীয় মন্ত্রিসভা তাদের নিরাপত্তা সভা সম্পন্ন করেছে। আশা করি তারা মাথা ঠাণ্ডা রাখবেন। মিডিয়া-প্ররোচিত যুদ্ধের কাছে মাথা নত করে লক্ষ লক্ষ জীবনের ঝুঁকি নেবে না বলে আশা করছি’।
অন্যদিকে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় (Pahalgam Terror Attack) কি হামাস যোগ রয়েছে? পাক জঙ্গি সংগঠনকে কি সাহায্য করেছে হামাস? একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটে পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা ও জইশ-ই-মহম্মদ হামাসের শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ করেছিল। মাস দুয়েকের ব্যবধানেই কাশ্মীরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। সত্যিই কি পহেলগাঁও-কাণ্ডের সঙ্গে হামাস যোগ রয়েছে?