ছিলেন ICC এলিট প্যানেলের সদস্য, ২০১৬ সালে ব্যান হওয়ার পর জুতো বিক্রি করছেন পাক আম্পায়ার

Published On:

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ২০০০ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১৭০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৬ সালে বিসিসিআই তাকে নিষিদ্ধ করে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি তে অংশগ্রহণ করার অভিযোগ উঠেছিল। পাঁচ বছরের জন্য তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এখন আর ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহী নন সেই পাক আম্পায়ার আসাদ রাউফ। বর্তমানে তিনি পাকিস্তানের একটি দোকানে জামাকাপড় এবং দ্রুত বিক্রি করে নিজের জীবিকা নির্বাহ করেন।

২০১৩ আইপিএল চলাকালীন সেই প্রতিযোগিতায় আম্পায়ারিং এর সঙ্গে যুক্ত আশরাফের বিরুদ্ধে স্পট-ফিক্সিংয়ের মামলা দায়ের হয়। সূত্র মারফত খবর পাওয়া গিয়েছিল যে তিনি নাকি জুয়াড়িদের কাছ থেকে বিভিন্ন উপহার গ্রহণ করেন। সেই দোষেই পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় তাকে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন ক্রিকেটার এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, “২০১৩ সালের পর থেকে ক্রিকেটের সাথে আমার আর কোন সম্পর্ক নেই আমি যখন কোন জিনিস ছেড়ে দিই, তখন সেটা পুরোপুরিই ছেড়ে দিই।”

নিজের ক্যারিয়ারে তিনি ৪৯ টি টেস্ট ৯৮ টি ওয়ানডে এবং ২৩ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন। একসময় আইসিসির এলিট প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত আম্পায়ার এখন জুতোর দোকান চালাচ্ছেন। এই বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে রউফ বলেন, “ভাই এটা আমার কাজ নয়। আমি আমার কর্মচারীদের জন্য শুধুমাত্র এই কাজটা করি। যদি এটা আমি বন্ধ করে দিই তাহলে ওদের পেট চলবে না। আমার এই কাজ করার এমনিতে কোন দরকার নেই।”

রউফ আরও যোগ করে বলেছেন, “আমি যখন যে কাজই করি না কেন আমি সবসময় তার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর চেষ্টা করি এটা আমার অভ্যাস। ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকার সময়ও সেটাই হয়েছিল। এখন আমি দোকানদার। এখনো সেটাই হচ্ছে। আমার বিন্দুমাত্র টাকার প্রতি লোভ নেই। আমি অনেক টাকা দেখেছি জীবনে, আর পৃথিবীটাকেও নানান রকম ভাবে দেখেছি।”

X