বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (Manmohan Singh)। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা দেশে। রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে এক শূন্যতা। সেই সঙ্গেই অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের। শুক্রবার বাংলা হান্টের মুখোমুখি হয়ে সেই নিয়ে কথা বলেন মনমোহনবাবুর ভাগ্নে গুরদীপ সিং। ব্যক্তিগত জীবনে কেমন মানুষ ছিলেন এদেশের সাবেক পিএম? আত্মীয়দের সঙ্গে তাঁর সমীকরণটাও বা কেমন ছিল? সেসব কথা শেয়ার করে নেন তিনি।
মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh) প্রয়াণে শোকের ছায়া পরিবারে
শহর কলকাতার টালিগঞ্জের (Tollygunge) জুবিলি পার্ক অঞ্চলে মনমোহন সিংয়ের বোনের বাড়ি। এদিন সেখানেই পৌঁছেছিল বাংলা হান্ট। ক্যামেরার সামনে মামার স্মৃতিচারণা করেন গুরদীপবাবু। তিনি বলেন, গতকাল রাত ৮টা নাগাদ অসুস্থতার খবর আসে। জানা যায়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে এইমসে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর রাত ৯:৩০টার পর জানতে পারেন মৃত্যুর খবর।
রাজনীতিবিদ হিসেবে মনমোহনবাবু কতখানি দক্ষ ছিলেন সেটা প্রায় গোটা দেশ জানে। তবে ব্যক্তিগতভাবে কেমন মানুষ ছিলেন তিনি? বাংলা হান্টের (Bangla Hunt) প্রশ্নের উত্তরে ভাগ্নে গুরদীপ বলেন, ‘ফ্যামিলিম্যান ছিলেন। এত বড় পরিবার, কিন্তু তাও সবার সঙ্গে ওনার খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সব ভাই-বোনের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল’।
গুরদীপবাবু জানান, যখনই কলকাতায় আসতেন, তখনই তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেন মনমোহনবাবু (Manmohan Singh)। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁদের ডেকে নিতেন রাজভবনে। প্রচুর ঘনিষ্ঠতা, স্নেহ, ভালোবাসা ছিল বলে জানান মনমোহনবাবুর ভাগ্নে। গুরদীপবাবু বলেন, ‘উনি একজন পাবলিক ফিগার ছিলেন, সেই সঙ্গেই ফ্যামিলিম্যানও ছিলেন’।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্নের কথায়, শত ব্যস্ততার মাঝেও পরিবারের জন্য ঠিক সময় বের করে নিতেন তাঁর ‘মামা’। গুরদীপবাবু বলেন, ‘আমরা যখনই দিল্লি যেতাম, ওনাকে বলতাম আমরা আসছি। উনি আমাদের জন্য সময় বের করে নিতেন। আমরা একসঙ্গে বসে কথাবার্তা বলতাম, খাওয়াদাওয়া হতো… উনি যখন কলকাতায় আসতেন তখন আমাদের সঙ্গে সময় বের করে দেখা করতেন। তাই উনি পরিবারের সঙ্গে সময় দিতে পারলেন না বা দেননি, এই নিয়ে আমাদের কোনও রকম অভিযোগ নেই’।
গুরদীপবাবু জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লিতে শেষবারের মতো প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল। সেটাই শেষ দেখা! তবে পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে জানান তিনি। বলেন, ‘পরশুদিনও মামিমার সঙ্গে কথা হয়েছে, ওনার মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওনার সঙ্গে না হলেও মামিমার সঙ্গে নিয়মিত কথা হয়’। মনমোহনবাবুর (Manmohan Singh) মৃত্যুকে পরিবারের পাশাপাশি গোটা বিশ্বের জন্য ‘বড় ক্ষতি’ বলেন তাঁর ভাগ্নে। ‘ইটস আ বিগ লস’, বলেন তিনি।