বাংলাহান্ট ডেস্ক: ডিএ নিয়ে রাজ্যে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে তুঙ্গে ধোঁয়াশা। আগের বছর ডিএ ঘোষণা করলেও নতুন বছরে এখনও অবধি এ ব্যাপারে কোনো কিছুই জানায়নি সরকার। তাই অবিলম্বে ডিএ ঘোষণার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল রাজ্যের এক শিক্ষক সংগঠন।
মহামারী আবহে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় বদল হয়েছিল সরকারি কর্মচারীদের বেতন পরিকাঠামো। কিন্তু তখন ডিএ ঘোষণা করেনি সরকার। ২০২১ সালে ৩% ডিএ ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মাঝখানে কেটেছে একটা বছর। নতুন বছরের ৩ টি সপ্তাহ কাটলেও ডিএ এর ব্যাপারে এখনও কোনো ঘোষণাই করা হয়নি রাজ্য সরকারের তরফে। যার ফলে ক্ষোভ বাড়ছে রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে। ডিএ ঘোষণা হলে তবেই কিছুটা বাড়ে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন। যার জেরে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে কর্মচারী মহলে।
অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তথা শিক্ষক নেতা নবকুমার কর্মকার জানান, ‘ মহামারী আবহে কিছুটা ডিএ ঘোষণা করলেও এবছর আমরা এখনও অবধি কোনো কিছুরই ইঙ্গিত পেলাম না’। পুরো বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন ফুলবাগানের একটি স্কুলের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক শিবশঙ্কর মাইতি।
গতবছর রাজ্য ৩% ডিএ ঘোষণা করলেও এবছর এখনও অবধি এই ব্যাপারে জানা যায়নি কিছুই৷ যার ফলে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতনের পার্থক্য হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮%। এর ফলেই রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ, অসন্তোষ ও ধোঁয়াশা বাড়ছে বলেই জানিয়েছেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।