বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে তৃণমূল-বিজেপি, বা তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষের কথা এখন কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। তবে এবার একেবারেই বিপরীত চিত্র উঠে এল বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি (Suri) থেকে। রবিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের (Trinamool Congress) পরিচিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন খোদ সিউড়ির প্রাক্তন কাউন্সিলর (Former Councillor) মৃন্ময় মুখোপাধ্যায়। এমন বেধড়ক মারা হয়েছে যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন নেতা।
রোজকার চেনা মুখগুলোই যে রাতে আচমকা হামলাকারীদের রূপ নেবে তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি মৃন্ময়বাবু। রবিবার রাতে নিজের মতো বাড়ি ফিরছিলেন। তবে পথেই ঘটলো বিপত্তি। পরিচিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন সিউড়ির প্রাক্তন কাউন্সিলর। যাদের সাথে রোজ কথা, আলাপ, কোনও ঝামেলা ছাড়া কেন তারা আক্রমণ করলো সেই নিয়ে হাজারো প্রশ্ন মৃন্ময়বাবুর মনে। ঠিক কী কারণে তার ওপর এই হামলা সে বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে প্রাক্তন কাউন্সিলর।
গতকালের ঘটনায় চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে নেতার। বর্তমানে সিউড়ির সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসারত তিনি। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, মৃন্ময় মুখোপাধ্যায় সিউড়ি ১১ নম্বর ওয়ার্ডের দু’বারের প্রাক্তন কাউন্সিলর। সেই ওয়ার্ডেরই বর্তমান কাউন্সিলর তার স্ত্রী চন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ”রোজকার মতো আমি পাড়ার ক্লাবের সামনে বসেছিলাম। তখন কয়েকজন চারচাকা গাড়িতে করে এসে আমার উপর হামলা চালায়। দশ জন মতো ছিল। রাস্তায় পড়ে থাকা পাথর ছোঁড়ে, চড়-কিল-ঘুসি মারতে থাকে।”
অন্যদিকে, তাকে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে আশেপাশের মানুষদের ওপরও হামলা হয় বলে অভিযোগ। প্রাক্তন কাউন্সিলরের ওপর দফায় দফায় এই হামলা চলে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরাও। পরে কোনও ভাবে ক্লাবের শিব মন্দিরে ঢুকিয়ে মৃন্ময়বাবুকে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচান ক্লাব সদস্যরা।
যারা হামলা করেছেন, তাদের সকলেই চেনেন বলে দাবি মৃন্ময়বাবুর। জনৈক নীলু ও নীলুর ভাই এর ওপর অভিযোগ তুলছেন তিনি। মৃন্ময়বাবু আরও বলেন, ”দু’বেলা নীলুদের সঙ্গে দেখা হয়। কোনও ঝামেলা বা বিতর্ক নেই।” কেন এই হামলা তার কারণ এখনও জানা যায়নি। চলছে তদন্ত।