BJP এগিয়ে থাকা বুথে কাজ না করার ফতোয়া প্রাক্তন TMC বিধায়কের, প্রতিবাদে ইস্তফা পঞ্চায়েত প্রধানের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপি (Bharatiya Janata Party) যেই সমস্ত বুথে এগিয়ে আছে, সেখানে কোনও পরিষেবা দেওয়া হবে না। ফতোয়া জারি করে বললেন ঘাটালের প্রাক্তন তৃণমূল (All India Trinamool Congress)  বিধায়ক শঙ্কর দলুই (Shankar Dolui)। তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে ফোন করে এই ফতোয়া দিয়েছেন। ওনার ফোনালাপ ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর প্রশ্নের মুখে শাসক দল। তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের এই ফতোয়া মানতে না পেরে বিডিও-র কাছে ইস্তফা দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান পুতুল পাত্র।

shankar dolui

উল্লেখ্য, একুশের মহারণে তৃণমূল কংগ্রেস চারিদিকে জয়লাভ করলেও ঘাটালে হেরে যায়। সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী শঙ্কর দলুই বিজেপির প্রার্থী শীতল কপাটের কাছে ৯৬৬ ভোটে হেরে যান। হারের একমাস কাটতে না কাটতেই প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক এই ফতোয়া জারি করেছেন। তবে ওনার এই ফতোয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান পুতুল পাত্র নিজের ইস্তফা দিয়েছেন বিডিওর কাছে।

পুতুল পাত্র অভিযোগ করে বলেছেন, ‘শঙ্কর দলুই আমাকে ফোন করে হুমকি দিয়েছেন। তিনি আমাকে স্পষ্ট বলেছেন যে, বিজেপি যেসব বুথে এগিয়ে আছে সেখানে কোনও উন্নয়নের কাজ করা যাবে না। আমাকে সমস্তরকম পরিষেবা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কন্যাশ্রী-রূপশ্রীও বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আমি এভাবে কাজ করতে পারব না বলেই ইস্তফা দিয়েছি।”

putul patra

পুতুল পাত্র আরও জানান, শুধু প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুই না, দলের অন্য নেতারাও হুমকি দিয়ে চলেছে। আর এই কারণেই আমি বিডিওর কাছে গিয়ে নিজের ইস্তফা দিই। উল্লেখ্য, ঘাটাল তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারীর এলাকা বলেই পরিচিতি। কারণ ঘাটাল লোকসভা থেকে তিনি ২০১৯-এ জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছেন। ওনার এলাকা থেকে পরপর দুটি অভিযোগ সামনে আসার পর তৃণমূলের নেতৃত্ব নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে।

dev deepak

একদিকে, ঘাটালের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের হুমকি। আরেকদিকে, কেশপুরে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের একঘরে করার লিফলেট ভাইরাল হতেই প্রশ্নের মুখে তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও দীপক অধিকারী ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, চারিদিকে যেই লিফিলেট ভাইরাল হচ্ছে সেটা তৃণমূলের কেউ করেনি। যদিও ওনার দাবি মানতে নারাজ বিরোধী শিবির।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর