সময় লাগবে প্রায় অর্ধেক! এবার মুম্বইয়ের সাথে সড়কপথে জুড়ছে কলকাতা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সমগ্র দেশজুড়েই (India) পরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত এবং গতিশীল করে তোলার লক্ষ্যে একের পর এক বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, তৈরি হচ্ছে একাধিক এক্সপ্রেসওয়ে। যার ফলে প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এমতাবস্থায়, এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সামনে এসেছে। উল্লেখ্য যে, ন্যাশনাল হাইওয়ে এবং হাই-স্পিড ইকোনমিক করিডোরগুলির মাধ্যমে ভারত জুড়ে রাস্তার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি সড়ক প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এমতাবস্থায়, মুম্বই এবং কলকাতার মধ্যে একটি অ্যাক্সেস-কন্ট্রোলড এক্সপ্রেসওয়ে কানেক্টিভিটি শীঘ্রই বাস্তবে পরিণত হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ২০২৮ সালের মধ্যে, মুম্বই এবং কলকাতা বিভিন্ন শহরকে সংযোগকারী আসন্ন এক্সপ্রেসওয়েগুলি একটি সিরিজের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হবে।

Four expressways will connect from Mumbai to Kolkata.

চারটি এক্সপ্রেসওয়ে মুম্বাই এবং কলকাতাকে সংযুক্ত করবে: যে চারটি এক্সপ্রেসওয়ে এই সংযোগ সহজতর করবে তার মধ্যে রয়েছে মুম্বাই-নাগপুর সমৃদ্ধি এক্সপ্রেসওয়ে, নাগপুর-ভান্ডারা-গোন্দিয়া এক্সপ্রেসওয়ে, রায়পুর-ধানবাদ ইকোনমিক করিডোর এবং বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে।

আরও পড়ুন: ধোনি-রিঙ্কু সিংয়ের থেকেও বড় ফিনিশার এই প্লেয়ার! প্রতিবার জেতায় হারা ম্যাচ

আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায়: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এগুলি সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রকের (MoRTH) কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণের অপেক্ষায় রয়েছে। ইস্টার্ন মহারাষ্ট্র এক্সপ্রেসওয়ে নামে পরিচিত নাগপুর-ভান্ডারা-গোন্দিয়া এক্সপ্রেসওয়ের প্রস্তাবের পরে এই সংক্রান্ত জল্পনাগুলি সামনে এসেছে।

আরও পড়ুন: ৩৮ রান করেই অহংকারে ডুব! জিতেও নিজের দলকেই দুষলেন শ্রেয়স আইয়ার

উল্লেখ্য যে, ১২৮ কিলোমিটার বিস্তৃত পূর্ব মহারাষ্ট্র এক্সপ্রেসওয়ে মুম্বাই-নাগপুর সমৃদ্ধি এক্সপ্রেসওয়েকে প্রসারিত করবে। যা মহারাষ্ট্রের নাগপুর, ভান্ডারা এবং গোন্দিয়া জেলাকে সংযুক্ত করবে। নতুন এক্সপ্রেসওয়েটি বর্তমানে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার তুলনায় নাগপুর এবং গোন্দিয়ার মধ্যে ভ্রমণের সময় প্রায় দুই ঘণ্টা কমিয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে মুম্বই এবং কলকাতার মধ্যে যাতায়াত অনেক সহজ হয়ে যাবে এবং সময়ও বাঁচবে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর