বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই যেমন রণনীতিতে একাধিক পরিবর্তন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, তেমনই পরিবর্তন করা হয়েছে সাংগঠনিক ক্ষেত্রেও। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি পরিষ্কার জানিয়েছেন, এবার থেকে এক ব্যক্তি কেবলমাত্র থাকতে পারবেন একটাই পদে। অর্থাৎ কোন মন্ত্রী জেলা সভাপতি বা অন্যান্য কোন সাংগঠনিক পদে থাকতে পারবেন না। সেই সূত্র ধরেই আজ ফের একবার একাধিক পরিবর্তন আনল তৃণমূল।
পরিবর্তিত হলো তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি পদও। নতুন সহ সভাপতি হলেন শুভাশিস বটব্যাল এবং মহঃ সোহরাব। সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে আটজনকে। তাঁরা হলেন, গৌতম দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী, শান্তিরাম মাহাত, রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, মিনতি অধিকারী, প্রতুল চক্রবর্তী, শওকত মোল্লা, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। শুধু রাজ্য কমিটির ক্ষেত্রেই নয়, এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ম মেনে পরিবর্তন করা হল জেলা সভাপতির ক্ষেত্রেও।
সোজাসুজি অপসারণ করা হল চার মন্ত্রীকে। এরা হলেন উত্তর ২৪ পরগনার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পূর্ব মেদিনীপুরের সৌমেন মহাপাত্র, হাওড়া শহরের অরূপ রায়, হাওড়া গ্রামীণের পুলক রায়। এছাড়া অপসারণ করা হয়েছে নদীয়া জেলার জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্রকেও। প্রসঙ্গত মহুয়া মন্ত্রী না হলেও লোকসভার একজন অতি গুরুত্বপূর্ণ সংসদ। তার জায়গায় এই মুহূর্তে নতুন জেলা সভাপতি হয়েছেন জয়ন্ত সাহা।
তবে মহুয়ার অপসারণ নিয়ে একাধিক কথাও শোনা যাচ্ছে তৃণমূল সূত্রে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মহুয়ার আচরণ নিয়ে স্থানীয় সংগঠনের মধ্যে তৈরি হয়েছিল ক্ষোভ। ভোটের আগে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যেও দু পয়সার সাংবাদিক বলে যথেষ্ট কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন তিনি। দলেরই এক নেতার মতে, ঠিক বেঠিক পরের কথা তার বাক স্বাধীনতায় তিনি বলতে পারেন যে কোন কথাই। কিন্তু তার আচরণের ঔদ্ধত্য অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। এমনকি গোষ্ঠী কোন্দলের ছবিটাও স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল এই সূত্র ধরে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে সেই কারণেই হয়তো তাকে সরিয়ে দিলেন মমতা-অভিষেক।