বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যখনই কোনো দেশে নির্বাচন বা এ সংক্রান্ত তারিখ ঘনিয়ে আসে, তখনই সেখানে এমন অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যা আমাদের কাছে অকল্পনীয় মনে হতে থাকে। এরকমই কিছু জিনিসয় ফ্রান্সে দেখা গিয়েছে, যার জেরে গোটা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় তাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করছে, কিন্তু ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল মাক্রোঁ আবার কারোর ধার ধারেন না। তিনি নিজে যা ঠিক মনে করেন, সেই কাজই করেন।
উল্লেখ্য, ফ্রান্সে পরপর কয়েকটি জঙ্গি হানা এবং জঙ্গি গতিবিধির পর সে দেশের সরকার মুসলিমদের উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। এমনকি অনেক মসজিদ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এমানুয়েল মাক্রোঁ সরকারের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ফ্রান্স বিদেশি ইমামদের দেশে প্রবেশ করা বা দেশে ধর্ম প্রচার করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যে সে দেশের মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে। আর এরই মধ্যে ফ্রান্স সরকার এখন ইসলাম ধর্মকে নিজেদের মতো করে করার প্রচেষ্টায় জুটেছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে, সরকার ফ্রান্সে ইসলামের ফোরাম নামে একটি নতুন সংস্থা গঠন করবে। তিনি জানিয়েছেন, এর উদ্দেশ্য হবে আমাদের দেশে এই ধর্মকে নতুন রূপ দেওয়া। এই ফোরামে ইমাম থাকবেন এবং সাধারণ মানুষ থাকবেন যাদেরকে সরকার নির্বাচিত করবে এবং নারীদের জন্য ২৫ শতাংশ আসন রাখা হবে।
এর মাধ্যমে ফ্রান্স তাদের দেশে বসবাসকারী মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদের জন্য তাদের ধর্ম সম্পর্কিত অনেক নিয়ম-কানুন তৈরি করার চেষ্টা করবে এবং তাদের জীবনযাত্রার পরিবর্তন করবে। ফ্রান্স সরকারের এই সিদ্ধান্ত সেই দেশে ছড়িয়ে পড়া অস্থিরতার উপর লাগাম লাগানোর প্রয়াস। অনেকেই আবার এই নিয়মটি প্রয়োজনীয় বলেই মনে করছেন।
তবে যারা ম্যাক্রোঁর সমালোচক তারা স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, ম্যাক্রোঁ এখন শুধুমাত্র ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কারণ অল্প সময়ের মধ্যে তাদের দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবং এই সিদ্ধান্ত এক শ্রেণির মানুষকে খুশি করার কাজ করবে। ফ্রান্স সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর সেদেশের মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে। এখন দেখার বিষয় এটাই যে, ভালোবাসার শহর প্যারিসে আবার নতুন করে কোনও অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে নাকি। বলে দিই, এর আগে চীনের জিনপিং সরকার নিজেদের মতো করে ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন লেখার কথা জানিয়েছিল।