বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চাকরি দেওয়ার নাম করে এলাকাবাসীদের থেকে টাকা আত্মসাৎ করেন তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর! শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে সেই টাকা হাতিয়ে মাসের পর মাস এলাকায় তাঁর কোনরকম খোঁজ পর্যন্ত নেই, এই অভিযোগ সামনে আসতেই এবার কামারহাটির (Kamarhati) ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সরব হলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। ‘অভিযোগ যদি একবার প্রমাণিত হয়, তাহলে দল তাঁকে ছাড়বে না’, হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছেন মদনবাবু।
কামারহাটি পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কাউন্সিলর বিমল সাহার বিরুদ্ধে বর্তমানে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর থানায় একটি অভিযোগ পর্যন্ত দায়ের করা হয়। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে মাসের পর মাস ওই তৃণমূল নেতা এলাকাছাড়া বলে দাবি।
এ খবর সামনে আসতেই কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, “থানায় দায়ের করা অভিযোগের কথা আমি শুনেছি। প্রমাণ ছিল বলেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বলে রাখি, যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে দলের তরফ থেকে ছাড় পাবেন না অভিযুক্ত।” একই সঙ্গে কামারহাটি পুরসভার সকল কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি বৈঠক পর্যন্ত ডেকেছেন মদন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ সামনে এসেছে। এক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মানিক ভট্টাচার্য, সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং অশোক সাহার মতো তৃণমূল নেতা মন্ত্রী এবং শিক্ষা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে। এছাড়াও বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ সামনে এসেছে।
সেই সকল প্রসঙ্গকে সামনে এনে এদিন মদন মিত্র বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতা যখন গ্রেফতার হয়েছেন, তখন তাঁকে দলের সব রকম পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিমলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকায় অনেকদিন ধরে উনি নেই বলে খবর পেয়েছি। তবে আমি বলতে চাই, সেখানকার বাসিন্দাদের কোন রকম অসুবিধা হতে দেবো না। সকল কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সকলকে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে।”
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার