বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে কুমন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। দায়ের হয়েছিল এফআইআর। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ করেছেন জোড়াফুল শিবিরের বেশ কয়েকজন কর্মী!
হুমায়ুনের (Humayun Kabir) বিরুদ্ধে ১৪ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ!
ফেরিঘাটের লিজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তোলা হয়েছে ভরতপুরের বিধায়কের বিরুদ্ধে। এই প্রসঙ্গে কতবীর আলি শেখ নামের এক তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মী বলেন, ‘ভরতপুরের লোহাদহ ঘাটে লিজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিধায়ক হুমায়ুন কবীর লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু লিজ পাওয়া যায়নি। উল্টে টাকা ফেরত চাইলে আমাদের যে দু’টি চেক দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো বাউন্স করে। এটা প্রতারণা’।
হুমায়ুনের (Humayun Kabir) বিরুদ্ধে যারা প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন তাঁরা প্রত্যেকেই ভরতপুরে থাকেন। কেউ লোহাদহ, কেউ জোড়গাছি, কেউ আবার ভালুইপাড়ার বাসিন্দা। যদিও তৃণমূল বিধায়ক যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, দলের একাংশ তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। এর জবাব আইনি পথেই দেবেন।
আরও পড়ুনঃ এবার DA বাড়ছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের? শুরু হয়ে গেল প্রস্তুতি, সামনে অর্থ দফতরের আপডেট
এদিকে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে থানায় দেওয়া অভিযোগপ্ত্রে লেখা হয়েছে, ‘আমরা তৃণমূলের একনিষ্ঠ সক্রিয় কর্মী। সেই কারণে বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে’। অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে, লোহাদহ ফেরিঘাট, আমলাই অঞ্চল এবং ভরতপুর থানার ঘাট ১ বছরের লিজ নিতে চাইলে ১৪ লক্ষ টাকা দাবি করেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক। তবে সেই টাকা দিলেও ফেরিঘাট লিজে মেলেনি। পরবর্তীতে টাকাও ফেরত পাওয়া যায়নি।
অভিযোগকারীরা সাফ জানিয়েছেন, পুলিশে অভিযোগ করেই ক্ষান্ত থাকবেন না তাঁরা। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছেও হুমায়ুনের (Humayun Kabir) বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন। এদিকে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক আবার বলেন, ‘বিধায়ক তো ঘাটের লিজ দেওয়ার মালিক নন। নির্দিষ্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ঘাটের স্বত্ব হস্তান্তর হয়। আমার বিরুদ্ধে যে পরিকল্পিত নোংরামো চলছে, সেটার উত্তরও যথাযথ জায়গায় দেব’।