এখনই হন সতর্ক! স্বল্প সময়ে মোটা টাকা ইনকামের ফাঁদেই হবে বড়সড় সর্বনাশ, ঘুম ওড়াবে এই নতুন স্ক্যাম

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজ যেমন দ্রুত গতিতে প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে, তেমনি পাশাপাশি হ্যাকারের মত বিরাট জগৎ তৈরি হয়েছে। যে ভুবনে প্রবেশ করলেই নিঃস্ব হচ্ছে গ্রাহকরা। সময়ের আবহে বেড়েছে জালিয়াতির কারবার। একেই ডিজিটাল স্ক্যামের (Scam) বাড়বাড়ন্ত নিয়ে অতিষ্ঠ গ্রাহকরা। তার উপর প্রতারকরা তৈরি করেছেন নতুন জালিয়াতি। এই নয়া প্রতারণার নাম হচ্ছে “ক্যাপচা স্ক্যাম” । এখানে একবার পা ফেললেই জীবন সাড়ে সর্বনাশ। এই প্রতারণায় পা ফেলার আগে জেনে নিন খুঁটিনাটি।

নতুন স্ক্যামের নাম ক্যাপচা স্ক্যাম (Scam):

আমরা অনেকেই স্বল্প সময় মোটা টাকা ইনকামের কথা ভাবি। বর্তমান যুগে এই প্রতিযোগিতার বাজারে মোটা টাকা তো দূর সাধারণ উপার্জন করতে গেলেই কাল ঘাম ছুটে যায়। আর এবার এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন ফাঁদ তৈরি করেছেন প্রতারকরা। যার নামই হচ্ছে “ক্যাপচা স্ক্যাম” (Scam)। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতারকরা অল্প সময় টাকার লোভ দেখিয়ে গ্রাহকদের ট্র্যাপে ফেলছেন।

Fraudsters are falling for new scam

ঠিক কিভাবে চলছে ক্যাপচা স্ক্যামের (Scam) কারবার: জানা গিয়েছে, ক্যাপচা ভরাট করে মাস গুনে বাড়িতে বসেই ২৫-৩০ হাজার টাকা ইনকাম করার টোপ দিচ্ছে বিশেষ কিছু সংস্থা। এর জন্য আপনাকে সবার আগে, একটি অ্যাপ ইন্সটল করতে হয়। এরপর সংস্থার তরফ থেকে ওই অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ৫০০ টাকা পেমেন্ট করতে বলা হবে। কিন্তু, প্রথমদিকে ৫০০ টাকা পেমেন্ট করতে বলা হলেও পরবর্তীতে দেখা যায় রেজিস্ট্রেশনের জন্য টাকা লাগছে ৭০০০ টাকা। কিন্তু প্রাথমিকভাবে ৫০০ টাকা দিলেই চলবে। এরপর উপার্জনের মাধ্যমে বাকি টাকা অ্যাপ থেকে কেটে নেওয়া হবে, এমনটাই বলা হয়। এই বিশ্বাস করে, কেউ কেউ প্রথম ৭০০০ টাকা দিয়ে দেন। এরপরই ঘটে বিপত্তি।

আপনাদের জানিয়ে রাখি, এখানে রেজিস্ট্রেশনের পর শর্ত দেওয়া হয়, ১৫০০ ক্যাপচা (Captcha) পূরণ করলে আপনি পাবেন মাত্র ৭৫ টাকা। অনেকে ভাবেন এই কাজ করা অনেক সহজ। তাই অনায়াসে শুধু ১৫০০ নয় ১০ হাজার ক্যাপচা পূরণ করা যায়। কিন্তু দেখা যায় সংস্থার তরফ থেকে এমন সব শব্দ দেওয়া হয় যেগুলি বুঝতে গিয়েই গ্রাহকদের মাথা ঘুরে যায়। এরফলে দিনে সঠিকভাবে দেড় হাজার ক্যাপচাও পূরণ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এতে করে সঠিকভাবে ৭৫ টাকা ইনকাম করা যায় না দিনে। এদিকে শর্ত অনুযায়ী, ৭ হাজার টাকা মেটানোর জন্য টানা সাড়ে তিন মাস কাজ করতে হবে আপনাকে। ফলে কাজ ছাড়াও মুশকিল। একপ্রকার মারাত্মক হেনস্তার মুখে পড়তে হয় গ্রাহকদের।

আরও পড়ুনঃ ধনকুবেরের হাতটান! আচমকাই ২৫৫০০০০০০০০০ টাকা প্রয়োজন আম্বানির, কারণ জানলে চমকে উঠবেন

উল্টোদিকে যারা প্রথমেই পুরো টাকা দিয়ে দেয় তাদের ক্ষেত্রে মাস শেষে দেখা যায় ১০০-২০০ টাকার বেশি উপার্জন করা যাচ্ছে না। অর্থাৎ টাকা লুট করার আরেক নাম ক্যাপচা স্ক্যাম (Scam)। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, রেজিস্ট্রেশন এর সময় যে আধার কার্ড, ভোটার কার্ডের তথ্য দেয় গ্রাহকরা সেগুলি পরবর্তীতে বেআইনি কাজে ব্যবহার করে থাকেন প্রতারকেরা। এই ভাবেই মানুষকে ঠকিয়ে ৫০০ থেকে ৭ হাজার টাকা হাতাচ্ছে ধূর্ত ব্যক্তিরা।

আরও পড়ুনঃ হাইকোর্টের বিচারকের মুসলিম বিরোধী মন্তব্যের জের! প্রধান বিচারপতির কাছে জানানো হল নালিশ

প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ এই প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছে: তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ এমন ভুয়ো ওয়েবসাইটে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। বর্তমানে বাজারে, এমন ভুয়ো কাজ করছে তিনটি সংস্থা। এমনকি গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য সেলিব্রেটিদের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বোকা বানানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ক্যাপচা স্ক্যামের (Scam) চক্করে পড়ে প্রায় অনেক মানুষ তাদের সর্বস্ব হারিয়েছেন। তাই কেউ যদি এমন প্রলোভনে ফেলার চেষ্টা করে তাহলে আগেই সাবধান হয়ে যান।

Sunanda Manna
Sunanda Manna

সুনন্দা মান্না, বাংলা হান্টের স্ক্রিপ্ট রাইটার। গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতা করার পর থেকেই সংবাদ মাধ্যমে কাজ শুরু। দেশ থেকে বিদেশ, রাজনীতি, বিনোদন বিভিন্ন তথ্যই আপনাদের কাছে তুলে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর